রানিনগর: মদ-বিড়ি-সিগারেট নয়, ছেলের নেশা একাধিক বিয়ে করার। ইতিমধ্যেই চারটে বিয়েও করেও ফেলেছে। আরও ২টি বিয়ের প্রস্তুতিও শুরু করেছে। তাতেই অতিষ্ঠ পরিবারের সদস্যরা। যুবকের কাণ্ডে রোজই চোখ কপালে উঠছে পাড়া-প্রতিবেশীদের। প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে বসলেন বাবা। হ্যাঁ, শুক্রবার এমনই দৃশ্য দেখল বাংলা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অসহায়ভাবেই বললেন, “আমার বড় ছেলের মাথার একটু সমস্যা আছে। তা ছাড়া ওর শুধুই বিয়ে করার নেশা। কিছু বললেই বলে কেটে ফেলব। তোমাকেও কেটে ফেলব, বাড়ির সবাইকেই কেটে ফেলব। ভয় পেয়েই আমি ওকে টাকা দিয়ে আসছি। ছেলে অত্যাচারে আমি ঘুমাতে পারি না।”
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগরে থাকেন ওই যুবক। বিগত কয়েক বছরে চারটি বিয়ে করে ফেলেছেন তিনি। আরও দু’টি বিয়ের কথাও চলছে। বাবার সন্দেহ গোপনে অন্যত্র ছেলে আরও বিয়ে করে থাকতে পারে। ছেলের অত্যাচারে তাঁকে একবার বাড়ি থেকে বেরও করে দিয়েছিল বাবা। কিন্তু, তাতেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অভিযোগ, বাবা-মায়ের উপর আরও অত্যাচার বাড়িয়ে দেয় গুণধর ছেলে। পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গেও লাগাতার তার ঝামেলা লেগে থাকে বলেও জানা যাচ্ছে। এমনকী কিছুদিন আগেই এলাকায় একটা ঝামেলায় জড়িয়ে গণধোলাইও খেয়েছে ওই যুবক। তারপর থেকে বাড়িতে আরও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। যুবকের বাবার দাবি, আর কোনও উপায় না দেখেই তিনি এই সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। লোক জানাজানি হলে যদি ছেলেকে বাগে আনা যায় সে কারণেই তিনি এই পথে হেঁটেছেন।
ছোট ছেলে ও স্ত্রীকে পাশে বসিয়ে এদিন ওই বৃদ্ধ বলেন, “ও লাগাতার বিয়ে করেই চলেছে। আজ অবধি চারটে বিয়ে করে ফেলেছে। এগুলো আমরা জানি। বাকি করেছে কিনা জানি না। শুনেছি বাড়িতে আরও দু’টো পরিবার এসেছিল। তাঁরাও বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। বিয়ে করছে, আর টাকা চাইছে আমার কাছে।”
এখানেই না থেমে ওই বৃদ্ধ আরও বলেন, “আমি ওকে বলেছি তুই টাকা নিয়ে ব্যবসা কর। ও বলে আমি করব না। ওর একটাই কথা, আমি ফ্রি ভাবে বাঁচাব। তার জন্য ওকে টাকা দিতে হবে। আমার ছোট ছেলে ব্যবসা করে। বড় ছেলে কিছুই করে না। কিছু বললেই বলে কেটে ফেলব। তোমাকেও কেটে ফেলব, বাড়ির সবাইকেই কেটে ফেলব। ভয় পেয়েই আমি ওকে টাকা দিয়ে আসছি। ছেলে অত্যাচারে আমি ঘুমাতে পারি না।” অন্যদিকে ওই যুবক বলছেন, কতগুলি বিয়ে করব না করব সেটা আমার। এবং যে মেয়ে আমাকে বিয়ে করবে তার ব্যাপার।”