মুর্শিদাবাদ: লোকসভা ভোটের আগে বিজয়া সম্মিলনীকে হাতিয়ার করে আমজনতার আরও কাছাকাছি পৌঁছে যেতে চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু সেখানেও কি কোন্দল থেকে যাচ্ছে? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে এক ও দুই নম্বর ব্লকে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে দেখা মিলল না ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের। কেন বিধায়কের দেখা নেই, সেই নিয়ে প্রশ্ন করায় হুমায়ুন কবির নিজেই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে।
ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এই কোন্দলের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। বললেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের শুরু থেকে টিকিট বণ্টন ও জেলা নেতৃত্বের মদতে এক একজন ব্লক সভাপতির দাম্ভিকতা দেখা গিয়েছে। যা তৃণমূলের ব্যতিক্রমী চরিত্র। যেভাবে পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন হয়েছিল, আমি তার বিরোধিতা করেছিলাম। পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে ভরতপুরে আশানুরূপ ফল হয়নি।” আজ বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে না থাকা প্রসঙ্গে বললেন, “আমি এক মঞ্চে থাকতে চাই না। আমাকে ডাকেও না, আমি যাইও না।” ভরতপুর-১ থেকে আমন্ত্রণ এলেও, ভরতপুর-২ ব্লক থেকে বিধায়কের কাছে কোনও আমন্ত্রণ আসেনি বলেও জানালেন তিনি। বিধায়কের বক্তব্য, তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় প্রার্থী বাছাই ঘিরে যে আপত্তি জানিয়েছিলেন, তারপর থেকেই এই পরিস্থিতি চলছে।
যদিও তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায়ের ব্যাখ্যা, বিধায়ক অন্য কাজে ব্যস্ত, তাই বিজয়া সম্মিলনীতে থাকতে পারেননি। জেলা সভানেত্রী বললেন, “বিধায়কের অনেক কর্মসূচি রয়েছে। সেই কর্মসূচিতে তিনি ব্যস্ত। সবাই তো এক জায়গায় যেতে পারি না। আমি এক জায়গায় এসেছি, তিনি আর এক জায়গায় গিয়েছেন।”
শাসক দলের জেলা সভানেত্রী বিষয়টি বিধায়কের ব্য়স্ততার কথা বলে এড়িয়ে গেলেও খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি শিবির। বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বক্তব্য, “ভরতপুরের বিধায়ক মুর্শিদাবাদ জেলায় দ্বিতীয় অনুব্রত মণ্ডল হতে চাইছেন। এখন ওনাদের দলে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে, কে বেশি হাইলাইটে থাকতে পারেন।”