AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad: বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, ৩ দিন মায়ের দেহ আগলে বসে ছেলে

Murshidabad: দিন তিনেক আগে থেকে ওই বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। দু'জনেই মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় স্থানীয়রা তেমন কোনও গুরুত্ব দেননি। এদিন সকালে দুর্গন্ধ বেরতে থাকে ওই বাড়ি থেকে।

Murshidabad: বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ, ৩ দিন মায়ের দেহ আগলে বসে ছেলে
তিন দিন ধরে মায়ের দেহ আগলে বসেছিলেন যুবকImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2025 | 4:16 PM
Share

মুর্শিদাবাদ: প্রায় তিন দিন মায়ের মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর কর্মকারপাড়া এলাকার‌। বুধবার সকালে প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পেয়ে ওই বাড়িতে যান। তারপরই বাড়ি থেকে প্রৌঢ়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম বাসন্তী সাহা(৬০)। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ছেলে সুজয় সাহাকেও থানায় নিয়ে যায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মা এবং ছেলে দু’জনেই মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই বাড়িতে তাঁরা দু’জনেই থাকতেন। ছেলেটি একসময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। মাঝেমধ্যেই মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়তেন। বেশ কয়েকমাস আগে থেকে ব্রেনের সমস্যা হয় বছর বত্রিশের সুজয় সাহার। দিন তিনেক আগে থেকে তাঁদের বাড়ি থেকে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। ভেতর থেকে দরজা বন্ধ ছিল। দু’জনেই মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় স্থানীয়রা তেমন কোনও গুরুত্ব দেননি। এদিন সকালে দুর্গন্ধ বেরতে থাকে ওই বাড়ি থেকে। তারপরই খবর দেওয়া হয় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মৃত মায়ের পাশেই বসেছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন সুজয় সাহা। তাঁর মায়ের দেহ পুলিশ উদ্ধার করার পরও ভাবলেশহীন ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। স্থানীয়দের বক্তব্য, বাড়ির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। ফলে ওই যুবক তাঁর মাকে খুন করেছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তাঁরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।