মুর্শিদাবাদ: ‘তাসের ঘরের’ মতো ভাঙন ধরেছে বঙ্গ কংগ্রেসে (INC)। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মুর্শিদাবাদে খোদ অধীর-গড়ে ফের ভাঙছে কংগ্রেস। রবিবার মীর আলমগির পলাশ-সহ মোট ৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি একযোগে যোগ দিলেন তৃণমূলে (TMC)।
এদিন, বেলা ১১ টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ভবনে যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। হরিহরপাড়ায় সদ্য বিধানসভা ভোটে পরাজিত হন ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মীর আলমগীর পলাশ। তিনি বিগত আরও দুটি বিধানসভায় পরাজিত হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায় তাঁর আর প্রদেশ কংগ্রেস (INC) সভাপতির অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠতা। জেলায়, অধীরের একরকম ‘সেনাপতি’ বলেই পরিচিত আলমগীর পলাশ। তাঁর তৃণমূলে যোগদান যে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের অন্দরে ‘ঘুণ’ ধরাতে সক্ষম এমনটাই মনে করছেন রাজনতিক বিশ্লেষকরা।
মীর আলমগীর পলাশ অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি নিজের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। হরিহরপাড়া বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেম, “বিগত দিনের রাগ অভিমান এবং দ্বন্দ্ব ভুলেই আমরা এক হয়ে গেলাম। হরিহরপাড়ায় কংগ্রেস (INC) থেকে ৯৫ শতাংশ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।” এদিন, পলাশের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন, আব্দুল নোমান মন্ডল সহ সভাপতি, উৎপল কুন্ডু সাধারণ সম্পাদক, হাবিবুর রহমান সেবাদল চেয়ারম্যান, শামীম হাসান সভাপতি হিউম্যান রাইটস, কাওসার আলী সভাপতি আই এন টি ইউ সি, মাইনুল ইসলাম অফিস সেক্রেটারি, ৯ টা অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি, ও যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাশিদুল ইসলাম সহ এক ঝাঁক নেতাকর্মীরা।
রবিবারের এই যোগদান পর্ব প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “যিনি যোগ দিয়েছেন তাঁর মনে রাখা উচিত দুই দুইবার পরাজয়ের পরেও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রায় দীর্ঘ বারো বছর ধরে তিনি এই ব্লক কংগ্রেস সভাপতির পদ সামলেছেন। এখন তাঁর বুদ্ধিতে মনে হয়েছে ওই দলে যোগ করা যায়। করেছেন। তবে, আলমগীর পলাশ যে বলেছেন ৯৫ শতাংশ মানুষ কংগ্রেসে যোগ দিল তা সত্যি নয়। যদি হত, তাহলে ওঁ নির্বাচনে হারতেন না।” আরও পড়ুন: ‘গতকাল কথা হয়েছে বাবুলের সঙ্গে’, সৌগতের মন্তব্যে সাংসদের ‘অলভিদা’-য় জল্পনা