মুর্শিদাবাদ: তিলোত্তমার ঘটনার এক বছর আগেই আরজি করের দুর্নীতি নিয়ে সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি। পরে সন্দীপ গ্রেফতার হওয়ার পর আখতার আলিকে ডেকে এই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। এবার ফের ময়দানে আখতার। তবে এবার আরজি কর নয়, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে সরব তিনি। দ্বারস্থ হাইকোর্টেরও।
আখতার আলির অভিযোগ, করোনার সময় যে সকল স্বাস্থ্য কর্মীরা (নিরাপত্তারক্ষী, সাফাইকর্মী) হাসপাতালের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের বসিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় পরে আবার কাজে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। অথচ বাস্তবে তা হয়নি। এরপরই সরব হন আখতার। অভিযোগ তোলেন, টাকার বিনিয়নে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের অভিযোগ। শনিবার এই সকল কর্মীদের হয়ে হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করার জন্য সমস্ত নথিপত্র সংগ্রহ করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
২০২২ সাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার প্রিন্সিপাল সহ একাধিক জায়গায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।। কিন্তু এখনো সুরাহা না মেলায় অক্টোবরে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানেও পুরাহা না মেলায় এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “”স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজও বাদ যায়নি। যে সময় মানুষ প্রাণের ভয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন, সেই সময় নোংরা-জঞ্জাল পরিষ্কার করেছেন এরা। কিন্তু এদেরই পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে বসিয়ে দেওয়া হয়। পরে নিয়োগ হলে দেখা যায় এদের বাদ নিয়ে অন্য লোকজনকে নেওয়া হয়েছে। ৭০ জনের উপর লোক নিয়োগ হয়েছে। আমার কাছে প্রমাণ আছে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে এই নিয়োগ হয়েছে।” আখতার আলি বলেন,”আমি আগেও দুর্নীতি বিরুদ্ধে লড়েছি। এবারও দেখলাম এদের উপর অন্যায় হয়েছে। তাই আর থাকতে পারলাম না। এখানেও দুর্নীতি হয়েছে। খুল্লামখুল্লা দুর্নীতি হয়েছে।” লক্ষ্মী হাজরা বলেন, “ডেপুটি স্যর পাশে থাকার জন্য আশার আলো দেখতে পেলাম। আমরা কলকাতা হাইকোর্টেও গেলাম। আমাদের বাদ দিয়ে নতুন করে নিয়োগ হয়েছে।”