মুর্শিদাবাদ : প্রশাসনের নাকের ডগাতেই কি দাপাদাপি বালি মাফিয়াদের? অবৈধ ভাবে বালি তোলার অভিযোগ উঠল কুয়ে নদী থেকে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার ভরতপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কুয়ে নদীর পাশে ঝিকরা গ্ৰামে বাঁধ কেটে অবৈধ ভাবে বালি তুলছে বালি মাফিয়ারা। এমনই অভিযোগ তুলছেন স্থানীয়দের একাংশ। এই এলাকায় প্রায়ই এভাবে অবৈধ উপায়ে বালি তোলা হয় বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরও কীভাবে চলছে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ? তাহলে কি প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য? উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অনেক আগে থেকেই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন স্যান্ড মাইনিং পলিসিরও।
উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিকবার কুয়ে নদীর উপর অবৈধভাবে বালি তোলার অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। বড়ঞাঁ ও ভরতপুরের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে ময়ুরাক্ষী ও কুয়ে নদী। আর এই কুয়ে নদী থেকেই মাঝেমধ্য়েই দেখা যায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল ভূমি সমষ্টি আধিকারিক সৌমিত্র বড়ালের সঙ্গে। তিনি বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না। আপনাদের কাছে শুনলাম বিষয়টি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান হাসিনা বেগমের স্বামী শামিম কবির বলেন, “আমি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় স্তরে বৈঠকে বলেছিলাম। আঞ্চলিক যে বৈঠক হয়, সেখানে ল্যান্ড অফিসারকে বিষয়টি বলেছিলাম। সেচের যিনি ছিলেন, তাঁকেও বলেছিলাম। বাঁধ দেখভাল করার জন্য কিছু সরকারি কর্মী নিযুক্ত থাকে, তাঁরা বসে বসে বেতন নেন। কোথায় বাঁধ কাটা আছে বা কেন কাটা হল, সেই প্রশ্ন তাঁরা একদিনের জন্য করেন না। এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নেন না, কোথাও রিপোর্টই দেন না। যখন অবৈধভাবে বালি কাটা হয়, তখন আমাদের থেকে কোনও এনওসি নেয় না। জমি ও সেচের আধিকারিকরা বিষয়টি ভাল বলতে পারবেন।”
এলাকার স্থানীয় বিজেপি নেতা ইমন কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গে এই সরকার টিকে আছে বালি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়া এবং সিন্ডিকেটের উপর। আমাদের ভরতপুর ব্লকও তার ব্যতিক্রম নয়। গোটা রাজ্যেই এই নৈরাজ্য চলছে।”