বহরমপুর: নাবালিকাদের দিয়ে মধুচক্র (Allegation of Honey Trap) চালানোর অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার রাতে আচমকা অভিযান চালায় বহরমপুর থানার পুলিশ (Berhampore Police Station)। শহরের বিভিন্ন হোটেলে হানা দেয় পুলিশকর্মীরা। রাজ্যের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন সোমা ভৌমিকও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের সঙ্গে। রাত ন’টা নাগাদ বহরমপুর শহরের ফরাসডাঙা এলাকায় বেশ কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানে একাধিক হোটেলের মালিক সহ প্রায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে অভিযোগ আসছিল ওই এলাকায় নাবালিকাদের দিয়ে মধুচক্র চালানোর। অভিযোগ পাচ্ছিলেন রাজ্য চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন চেয়ারপার্সনও। তিনিও পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আর তারপরই চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন সোমা ভৌমিককে সঙ্গে নিয়ে বহরমপুরের সন্দেহভাজন হোটেলগুলিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সোমা দেবী জানিয়েছেন, অনেকদিন ধরেই তাঁরা অভিযোগ পাচ্ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানতে পারেন এই এলাকাতেই চলছিল সেই মধুচক্র। সেই সূত্র ধরেই এদিন অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, “গ্রামের থেকে গরীব অল্পবয়সি মেয়েদের নিয়ে এসে এখানে দেহব্যবসা করানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এগুলিকে আমরা খুবই ঘৃণার চোখে দেখি। তাঁদের যাতে যথাযথ পুনর্বাসন হয়, সেই বিষয়টি আমরা দেখব। আপাতত আমরা মেয়েদের হোমে রাখব এবং তাঁদের বাড়ি খুঁজে বের করব। তাঁরা যাতে সরকারি সাহায্য পান, সেই বিষয়টিও আমরা দেখব। আমরা সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছি।”
শনিবার রাতের এই অভিযান পুলিশের একটি বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। নাবালিকাদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। শনিবার রাতে বহরমপুর শহরের একাধিক হোটেলে অভিযান চালানো হয়। আর তাতেই আটক করা হয়েছে ১৫ জনকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। সন্দেহজনক বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজন কিশোরীকে উদ্ধারও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।