TMC: ‘কিছু চুনোপুটি মিটিং-মিছিলে আমাদের ডাকছে না’, বিধায়কের মন্তব্যে বেআব্রু তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 04, 2022 | 9:21 AM

Humayun Kabir: বিধায়ক বললেন, "চুনোপুটি কিছু আছে, আমরা লক্ষ্য করছি তো। আমাদের দলের মধ্যে থেকেই মিটিং-মিছিলে আমাদের ডাকছে না। আবার আমাদের লোকরা তাঁকে ডাকলেও তিনি আসছেন না।"

TMC: কিছু চুনোপুটি মিটিং-মিছিলে আমাদের ডাকছে না, বিধায়কের মন্তব্যে বেআব্রু তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল
হুমায়ুন কবীর

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: ফের বেআব্রু তৃণমূলের (Trinamool Congress) অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল। এবার সৌজন্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)। বললেন, “চুনোপুটি কিছু আছে, আমরা লক্ষ্য করছি তো। আমাদের দলের মধ্যে থেকেই মিটিং-মিছিলে আমাদের ডাকছে না। আবার আমাদের লোকরা তাঁকে ডাকলেও তিনি আসছেন না। একই দলে থেকে দলের মধ্যে এইভাবে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। দলের মধ্যে থেকে দলকে অস্বস্তিতে ফেলা, দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা… এগুলি দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হচ্ছে। আমরা এগুলি বরদাস্ত করার জন্য অভ্যস্ত নই।”

শনিবার মুর্শিদাবাদের সালার থানার তালিবপুরের সরমস্তপুর গ্রামে তৃণমূলের একটি কর্মিসভা ছিল। সেই কর্মিসভায় বক্তৃতা রাখছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরও। সেখানেই তাঁর মুখে উঠে আসে পুঁটি মাছ ও ট্যাংরা মাছের প্রসঙ্গ। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নিজের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন বিধায়ক। যদিও বিধায়ক সরাসরি কারও নাম করেননি। তবে হুমায়ুন কবীরের এই মন্তব্য ঘিরে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েক মাস থেকেই ভরতপুর বিধানসভার ভরতপুর-২ অর্থাৎ সালার ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতির সঙ্গে বিধায়কের ঠোকাঠুকি নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি দুই পক্ষই আলাদা আলাদাভাবে মিটিং মিছিল করছেন সালারে। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, তারই ফলশ্রুতি হল শনিবারের ওই মন্তব্য। আর বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দল।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ভরতপুর ২ ব্লক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বিধায়ক হয়ত কোনও কর্মসূচিতে এই মন্তব্য করেছেন। কিন্তু তিনি কাকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেছেন, সেটি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। তা উনিই বলতে পারবেন।” যদিও বৈঠকে না ডাকার তত্ত্বটি উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, “আমরা যা করি দলীয় নির্দেশেই করি। দল যখন যেমন সভা করতে বলে, তেমনভাবেই করা হয়েছিল। শেষ যে বড় সভাটি করা হয়েছিল, সেটিও তাঁর অনুমতিক্রমেই করা হয়েছিল। তিনি হয়ত বিশেষ কারণে আসতে পারেননি।”

Next Article