Murshidabad Medical College: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ‘থ্রেট কালচার’, দুর্নীতির অভিযোগ করায় প্রাণে মারার ‘হুমকি’

Koushik Ghosh | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 04, 2024 | 1:55 PM

Murshidabad Medical College: ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন শাখার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজ্য ভিজিলেন্স দফতরের কাছেও। অভিযোগ, ঠিকাদারি সংস্থায় বরাত দেওয়ার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সুবিধা নিয়েছেন খোজ অধ্যক্ষ।

Murshidabad Medical College: মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ‘থ্রেট কালচার’, দুর্নীতির অভিযোগ করায় প্রাণে মারার ‘হুমকি’
ফের শোরগোল স্বাস্থ্য মহলে
Image Credit source: Facebook

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: এক আরজি করে রক্ষা নেই সঙ্গে দোসর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে দুর্নীতির অভিযোগ। দুর্নীতি নিয়ে কথা বলায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চলে বাড়িতে। ঘটনায় আতঙ্কিত অভিযোগকারী। তিনি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ। অধ্যক্ষ, দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার (নন মেডিকেল), ঠিকাদার সংস্থার মালিক ও সুপারভাইজার এই দুর্নীতিতে জড়িতে বলে অভিযোহ করেছিলেন অস্থায়ী কর্মী অপূর্ব ঘোষ। তারপরই তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের নতুন করে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য মহলের অন্দরে। 

ইতিমধ্যেই দুর্নীতি দমন শাখার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজ্য ভিজিলেন্স দফতরের কাছেও। অভিযোগ, ঠিকাদারি সংস্থায় বরাত দেওয়ার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সুবিধা নিয়েছেন খোজ অধ্যক্ষ। অভিযোগকারীর দাবি, মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে বিভিন্ন বিভাগে চলছে দুর্নীতি। নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়োগের নামেও টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। 

এছাড়াও আয়ূষ ক্যান্টিন-সহ একাধিক ক্যান্টিন থেকে টাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপাপের হাত ধরে টাকা তোলার অভিযোগও উঠে এসেছে। অভিযোগ হাসপাতালের একশো মিটারের মধ্যে রয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। হুমকির মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত বহরমপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অপূর্ব ঘোষ। বলছেন, “করোনার সময় দু’বছর কাজ করেছিলাম। কিন্তু, হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কেন বন্ধ করা হল সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দেওয়া হয়নি। যখনই প্রিন্সিপাল বলেছিলেন কাজের সুযোগ তৈরি হলে আমাদের নেওয়া হবে। কিন্তু, আমাদের বাদ দিয়ে অন্যদের নেওয়া হয়। তারপরই আমি ও আমার মতো অনেকেই দুর্নীতি দমন শাখায় অভিযোগ করি। তারপর থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মধ্যরাতে আমার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।” 

Next Article