মুর্শিদাবাদ ও মগরা: কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে পারে! নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হতেই রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিষিদ্ধ মাদকের চোরা কারবারের সঙ্গেই সমান্তরালভাবে চলছিল জাল ওষুধ তৈরির কারবারও। সম্প্রতি, হুগলির জেলার মগরায় এক অভিযানে এমনই এক জাল ওষুধ তৈরির বিশাল কারখানার সন্ধান পেলেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা। ওই কারখানার গোপন অভিযান চালিয়ে এসটিএফ-এর অফিসাররা উদ্ধার করেছেন প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অর্ধেক তৈরি হওয়া বিভিন্ন জাল ওষুধ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক বহুজাতিক সংস্থার জাল স্টিকারও পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে। গোটা কারখানা সিল করে দিয়েছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে যখন তদন্ত শুরু হয়েছিল, তখন এটি ছিল একটি সম্ভব্য মাদক পাচার চক্রের তদন্ত। এসটিএফের কাছে গোপন সূত্র মারফত খবর ছিল, প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ মাদক একটি ট্রাকে করে পাচার করা হবে। সেই মতো কাঁচড়াপাড়া-গাইঘাটা রোডে জাল পাতেন এসটিএফ-এর অফিসাররা। তাতে ধরাও পড়ে যায় ওই মাদকবাহী ট্রাক। উদ্ধার হয় প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেনসেডিল। গাড়ির চালক উপেন্দ্রকুমার মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়।
আর এরপরই আসে রহস্যের নতুন মোড়। ট্রাক চালককে জেরা করে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা জানতে পারেন ওই ব্যক্তি হুগলির মগরা অঞ্চলের একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত। এক পরিত্যক্ত বাড়িকে গোডাউন বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের জাল ওষুধের কারবার চালায় ওই কুখ্যাত গ্যাং। সেই মতো গতকাল মগরার ওই গোডাউনে হানা দেয় এসটিএফ। সেই পরিত্যক্ত বাড়িটি বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। কারখানার ভিতরে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ ফেনসেডিল উদ্ধার হয়। একইসঙ্গে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ অর্ধেক তৈরি জাল ওষুধ। এই কারখানা কারা চালাত, কোথায় কোথায় এই জাল ওষুধ সাপ্লাই দেওয়া হত, সেই সব তথ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা।