মুর্শিদাবাদ: আধার নির্ভর লেনদেন প্রথাকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে টাকা। সম্প্রতি বহরমপুরের এক শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ১০ হাজার টাকা। এই খবর সম্প্রচার করে টিভি ৯ বাংলা। এবার সেই মুর্শিদাবাদেই আবার জালিয়াতির শিকার আরও এক মহিলা। তবে এবার আর আধার এনেবেল পেমেন্ট সিস্টেম আনলক থাকায় উধাও হয়নি টাকা। উল্টে সিস্টেম লক থাকা সত্ত্বেও মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব টাকা। তারপরই তাজ্জব বনে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
পেশায় স্কুল শিক্ষক সুতনু রক্ষিত। আর তাঁর স্ত্রী বর্তমানে অসমে কর্মরত। অসমের লাম্বিং ডিভিশনের রেলওয়ের হাসপাতালে চিফ মেট্রোন পদে কর্মরত প্রতিমা রক্ষিত। অভিযোগ, প্রতিমা রক্ষিত তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। আর সেই অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৫ হাজার টাকা। কিন্তু হঠাৎই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় ৫হাজার টাকা। তারপরেই ব্যাঙ্কে গিয়ে জানা যায় টাকা গিয়েছে মালদহতে। এইপিএস (AEPS) ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে। মালদহ জেলার বাসিন্দা জিন্নাত আলি নামে এক ব্যক্তি আধারকার্ডের বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেই এই টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত শাখায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমাদেবী বলেন, “আমার অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচ হাজার ডেবিট হয়ে গিয়েছে। আমি কোনও ওটিপি শেয়ার করিনি, টাকা তুলিনি, কোনও লিঙ্কে ক্লিক করিনি। পরে জানতে পারলাম আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক হ্যাক করে এটা তোলা হয়েছে।”
সচেতনতার প্রচার সব সময় করেছে TV9 বাংলা। কীভাবে এই প্রতারণা থেকে রক্ষা মিলবে? সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “শুধু আধার কার্ড লক করলে হবে না। আধার হ্যাক মানে একটা গোটা মানুষ হ্যাক। কোনও হোটেলে কেউ যদি আধার কার্ডের জেরক্স চায় দেবেন না। আধার কার্ডের সঠিক সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। আমাদের ডাটা প্রতারকদের হাতে চলে এসেছে। শুধু আধার লক করে সব সমস্যার সমাধান হবে না। আধার কার্ড যেখানেই দেবেন মাস্ক করে দেবেন। যেখানে শুধুমাত্র চারটে নম্বর পাওয়া যাবে। আর ছবিও ব্লার থাকবে।“