রাজনীতিতে হাতেখড়ি খুব বেশিদিনের নয়। আদ্যোপান্ত একজন ব্য়বসায়ী। কিছুটা শখেই পা রাখেন রাজনীতিতে। আর খুব কমদিনে সেই ব্যক্তিই হয়ে উঠলেন বাংলার রাজনীতির অন্যতম চর্চিত নাম। রাজনীতিতে পা দিয়ে বিধায়ক হতে বেশি সময় লাগেনি তাঁর। বাইরনে ভরসা রেখেই নতুন করে হালে পানি পাওয়ার স্বপ্নও দেখতে শুরু করেছিল কংগ্রেস। আর সেই বাইরন বিশ্বাসই সবাইকে তাক লাগিয়ে অভিষেকের হাত ধরে চলে গেলেন তৃণমূলে।
বাবা কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন হলেও রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন বাইরন। ধ্যানজ্ঞান ছিল পারিবারিক ব্যবসা। একাধিক বিড়ি কারখানা, নার্সিংহোমের মালিক বাইরন কখনই ভাবেননি যে রাজনীতি করবেন। বাবাকে দেখেছেন মানুষের আপদে-বিপদে ছুটে যেতে। মানুষের পাশে দাঁড়াতে পছন্দ করতেন বাইরনও। কিন্তু, তিনি বুঝে গিয়েছিলেন রাজনীতিতে যোগ দিলে তবেই সার্বিকভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে পারবেন। সেই শুরু। শেষ পর্যন্ত তিনি যোগ দেন কংগ্রেসে। আর কংগ্রেসে যোগ দিয়েই হয়ে যান নির্বাচনী পদপ্রার্থী। ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি ছিলই। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে লড়ে বড় জয় ছিনিয়ে নেন বাইরন। প্রায় ২৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন তিনি।
খুব কম বয়সেই ব্যবসায় উন্নতি করেছেন বাইরন। পড়াশোনাও বেশি দূর করেননি। কাঞ্চনতলা জেডি ইন্সস্টটিউশন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। সেখানেই ইতি। তারপরই বাবার ব্যবসায় যোগ দেন। কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন বাবা বাবর আলি বিশ্বাসের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বাড়ির বড় ছেলে বাইরন।
খুব কমদিনেই বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা শিল্পপতি হিসেবে পরিচিতি তৈরি হয় বাইরনের। বাবার হাত ধরে পারিবারিক ব্যবসায় ঢোকার পর এলাকায় পরিচিতি বাড়তে থাকে আরও। সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে আর রঘুনাথগঞ্জে বাড়ি রয়েছে তাঁদের। ব্যবসায় উন্নতি করার সুবাদে এলাকার অনেক নেতাদের সঙ্গে পরিচিতি তৈরি হয়েছিল। বাম, তৃণমূল, বিজেপি সব দলের নেতাদের সঙ্গেই সুসম্পর্ক ছিল তাঁর। পরে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। আর ২০২২ সালেই কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হন বাইরন।