BLO: হঠাৎ বুকে ব্যাথা, একটানা কাজের মাঝেই মৃত্যু BLO-র
BLO Death: জাকির হোসেন গত কয়েকদিন ধরেই নিরন্তর মাঠ পর্যায়ে তালিকা সংশোধনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষকের।

মুর্শিদাবাদ: আরও এক বিএলও-র মৃত্যু ঘিরে উঠল প্রশ্ন। একটানা এসআইআর-এর কাজ করছিলেন তিনি। তারই মাঝে আচমকা মৃত্যু। বিএলও-র মৃত্যু ঘিরে সরগরম মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম। প্রশ্ন উঠেছে, ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত কাজের চাপই কি কেড়ে নিল আর এক শিক্ষকের প্রাণ?
বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দিঘা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জাকির হোসেনের। অভিযোগ, টানা চাপের মধ্যেই তিনি কাজ করছিলেন। পরিবারের দাবি, দিনের পর দিন স্কুলের কাজের পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে মানসিক ও শারীরিকভাবে চাপ বাড়ছিল ওই শিক্ষকের।
জাকির হোসেন গত কয়েকদিন ধরেই নিরন্তর মাঠ পর্যায়ে তালিকা সংশোধনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎই বৃহস্পতিবার সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই শিক্ষকের।
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া চলাকালীন একাধিক বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কাজের চাপেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন দেবাশিস দাস নামে এক বিএলও। তিনি নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের বিজয়বাটি এলাকার বাসিন্দা। একইভাবে কয়েকদিন আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন কোন্নগরের এক বিএলও।
মুর্শিদাবাদের এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট চারজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বর্ধমানে এক মহিলা বিএলও-র মৃত্যু হয়েছিল ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে। পরে মালবাজার ও নদিয়ায় দুই বিএলও আত্মঘাতী হন। সেখানেও কাজের চাপের কথাই বলেন পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, কোনও বিএলও-র মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে ও অসুস্থ হলে ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
