AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BLO Fell Sick: মস্তিষ্কের বাম পাশে জমে গিয়েছে রক্ত, SIR-র কাজের চাপেই ব্রেন স্ট্রোক BLO-র?

SIR in West Bengal: ছেলে সৌরভ দাস বলেন যে মঙ্গলবার তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন রাতেই নামখানার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বুধবার তাঁর বাবাকে স্থানান্তর করে নিয়ে আসা হয় ডায়মন্ড হারবারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকেই রাতে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

BLO Fell Sick: মস্তিষ্কের বাম পাশে জমে গিয়েছে রক্ত, SIR-র কাজের চাপেই ব্রেন স্ট্রোক BLO-র?
অসুস্থ বিএলও দেবাশীষ দাস।Image Credit: TV9 বাংলা
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2025 | 12:49 PM
Share

নামখানা: এসআইআরের পাহাড় প্রমাণ চাপ। অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও এক বিএলও। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত দেবাশিস দাস। তিনি নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের বিজয়বাটি এলাকার বাসিন্দা। গত ২৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন বছর সাতান্নর দেবাশিস দাস।

এসআইআরের কাজের অত্যাধিক চাপ নিয়ে সরব একাধিক বিএলও। তাদের দাবি, এসআইআরের কাজের চাপ অনেক, কিন্তু সময় অনেক কম। একের পর এক বিএলও-র অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছে। এমনকী তিনজন বিএলও-র মৃত্যুও হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারেরই দাবি, এসআইআরের কাজের চাপেই মৃত্যু হয়েছে। এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরেক বিএলও দেবাশিস দাস।

তাঁর ছেলে সৌরভ দাস বলেন যে মঙ্গলবার তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিন রাতেই নামখানার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বুধবার তাঁর বাবাকে স্থানান্তর করে নিয়ে আসা হয় ডায়মন্ড হারবারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকেই রাতে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে মেইন ব্লকে সিসিইউ-তে রাখা হয়েছে। ওই বিএলও-র পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির প্রতিনিধিরা।

ছেলে সৌরভ দাস বলেন, “আমার বাবা ২৮৬ নম্বর বুথের বিএলও। এসআইআরের কাজে যা চাপ দেওয়া হচ্ছে, তাতে মানসিকভাবে খুব চাপে ছিলেন। রবিবারও ছুটি পাচ্ছিলেন না বাবা। কাজের চাপে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি আসেন। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়িতে ডাক্তার ডেকে আনলে জানানো হয় যে ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। আজ সিটি স্ক্যান হয়েছে, মাথার বাম দিকে রক্ত জমে গিয়েছে। অপারেশন না করালে বাবাকে ফিরে পাওয়া খুব কঠিন।”

এদিকে, বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির মইদুল ইসলাম বলেন, “যদি অসুস্থ বিএলও-র কিছু যদি হয়ে যায়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে বসবেন তারা। এই ধরনের ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ দায়ী। রাজ্যজুড়ে শয়ে শয়ে বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মারা যাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনের চাপের কারণেই বিএলও’দের এই সমস্যা হচ্ছে।”