BLO: এত কাজ পারা যাচ্ছে না! ফর্ম বিলির পর এবার আপলোড! রেগে মিটিং ছেড়ে বেরলেন BLO-রা
BLO: প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগ তুলেছেন বিএলও-রা। বিএলও-দের দাবি, যিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তিনিই নাকি ১৫ মিনিটে একটি ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না। তাহলে মাঠে নেমে তাঁরা কীভাবে দ্রুত ও নিখুঁতভাবে এই দায়িত্ব পালন করবেন? সব মিলিয়ে, বিএলও–দের দাবি তাঁদের SIR-এর কাজ করতে আপত্তি নেই, কিন্তু অনলাইন অ্যাপের কারিগরি জটিলতা, অপ্রতুল পরিকাঠামো এবং কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছাড়া অতিরিক্ত চাপ তাঁদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

হাওড়া: বিএলও-দের উপর বাড়তি চাপ! বিক্ষোভ দেখিয়ে একেবারে মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বিএলও-রা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কাজের চাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএলও-রা। আর এবার একযোগে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। মুর্শিদাবাদের সামসেরঞ্জের ঘটনা।
অনলাইন অ্যাপে এনুমারাশন ফর্ম আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একদিকে বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিতরণ, সেগুলো জমা নেওয়ার কাজ। তার উপরে আবার সমস্ত ফর্ম ছবি সহ অনলাইন অ্যাপে আপলোড করতে হবে। এত কাজ নিয়ে পেরে উঠছেন না বিএলও-রা। অনৈতিকভাবে কাজের চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন তাঁরা।
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ডাকা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান বিএলও-রা। শুক্রবার সামসেরগঞ্জের নিমতিতা পঞ্চায়েতের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ৩১ জন বিএলও (BLO)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনৈতিকভাবে বাড়তি কাজ চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদেই নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের ডাকা বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।
বৈঠকের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিএলও-রা। এই ঘটনাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকা জুড়ে। বিএলও–দের অভিযোগ, প্রতিটি ফর্ম অ্যাপে আপলোড করতে গিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। বারবার চেষ্টা করলেও ফর্ম আপলোড হচ্ছে না। ফলে বাড়ি বাড়ি ফর্ম বিতরণ, জমা নেওয়ার পাশাপাশি এই অতিরিক্ত কাজ সময় সাপেক্ষ হয়ে উঠছে। পুরো কাজ একার পক্ষে সামলানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি বিএলও-দের।
এদিকে এইআরও এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ফটো ছাড়া ফর্ম আপলোড করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন বিএলও-দের। কিন্তু কোনও কোনও লিখিত আদেশ দেওয়া হয়নি। BLO–দের প্রশ্ন, “অফিশিয়ালি কোনও নির্দেশিকা না দিলে, পরে কোনও ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়লে দায় নেবেন কে?” তাঁদের যুক্তি, যদি সত্যিই ফটো ছাড়াই আপলোডের অনুমতি থাকে, তাহলে কেন স্পষ্ট লিখিত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না? কেন বিএলও–দের উপরই ঝুঁকি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
এদিকে, প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। বিএলও-দের দাবি, যিনি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন, তিনিই নাকি ১৫ মিনিটে একটি ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না। তাহলে মাঠে নেমে তাঁরা কীভাবে দ্রুত ও নিখুঁতভাবে এই দায়িত্ব পালন করবেন? সব মিলিয়ে, বিএলও–দের দাবি তাঁদের SIR-এর কাজ করতে আপত্তি নেই, কিন্তু অনলাইন অ্যাপের কারিগরি জটিলতা, অপ্রতুল পরিকাঠামো এবং কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছাড়া অতিরিক্ত চাপ তাঁদের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই অবিলম্বে পরিষ্কার নির্দেশিকা এবং যুক্তিসঙ্গত কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি বিএলও-রা আরও জানিয়েছেন, গঙ্গা ভাঙনের ফলে অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ফলে সে সব জায়গায় কাজ করতে গিয়েও চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এদিকে বিএলও-দের ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি নিমতিতা পঞ্চায়েতে আসা সামসেরগঞ্জ ব্লকের এইআরও এবং অন্যান্য আধিকারিকরা।
