CM Mamata Banerjee: ‘ফরাক্কায় ড্রেজিং করেনি বারবার বলার পরও’, কেন্দ্রকে দুষলেন মমতা
Mamata Banerjee: ভাঙন এখানে সমস্যা। প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। এটা কেন্দ্রের অধীনে ছিল, গঙ্গাভাঙন রোধ ও বন্যার জল নিয়ন্ত্রণ। ফরাক্কায় ড্রেজিংয়ের কথা হয়েছিল। ৭০০ কোটি দেবে বলেছিল। তা দেয়নি। আমরাও করতে পারি না। ওরাও করে না। তাই মানুষের সমস্যা হয়। ভাঙন রোধে একটা পরিকল্পনা পাঠিয়েছি এখনও উত্তর দেয়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit: Facebook
ভোটের আগে আগে মুর্শিদাবাদে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সভা করছেন তিনি। এদিকে আজ আবার ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করেছে দল। মমতার সভায় গিয়েও ফিরে এসেছেন তিনি। আজ নজর থাকবে হুমায়ুনকে নিয়ে কী বলেন নেত্রী। এক নজরে সব আপডেট
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলাকে দমন করতে পারছিল না বলে রাজধানী স্থানান্তরিত করেছিল। ওয়াকফ নিয়ে যে যা প্রচার করুক কান দেবেন না। নির্দলদের ভোট দেবেন না। নিজের ভোট নিজে তুলবেন। কেউ কেউ বলছে সংখ্যালঘুদের ভোট কেন উঠবে? বেশ করে উঠবে। এখানে রোহিঙ্গা নেই। রোহিঙ্গা বাংলাদেশ, অসমে আছে। বাংলা হৃদয়ের ভাষা। এসআইআর এর নামে ভয় পাবেন না। শুধু নিজেদের কাগজগুলো ঠিকমতো জমা দিন। ওরা টাইম বেছে নিয়েছে। যদি না করতে দিতাম। তাহলে ভোট না করে রাষ্ট্রপতি শাসন করত। বুঝেছেন অমিত শাহের চালাকিটা? আমরা অত বোকা নই বাবুমশাই, গোদিভাই। আমরা করব, কে দেখাব। আমরা লড়ে দেখাব। আমাদের ভাতে মারা যাবে না। সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া যাবে না। নিশ্চিন্তে থাকুন আপনাদের নিরাপত্তা অধিকার সুরক্ষিত। কেউ বিতাড়িত হবেন না। আর বিতাড়িত হলে মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনি তেমনই সকলে আনব।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: নতুন করে এখানে অশান্তি হোক। আর NIA-র হাতে আমাদের ছোট ছোট ভাই বোনদের হাতে তুলে দিতে হবে। অশান্তির প্রশ্রয় দেবেন না। কেউ কেউ টাকা খেয়ে ভোটের আগে বিজেপির তাঁবেদারি করে। এরা দেশের শত্রু। বিজেপির অনেক মিডিয়া আছে। সব মিডিয়া খারাপ না। এরা শিখিয়ে দেয়। এই সব দেখবেন না।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি বীরভূমে জন্মেছিলাম। বর্ডারে। নয়ত আমায়ও বাংলাদেশে বলত। ছিন্নমূলদের আমি সম্মান করি। আমার গলা কেটে দিলে ডিটেনশন ক্যাম্প করব না। তাড়াব না। বিজেপি ভাল করে জেনে রাখ। রোহিঙ্গা আমরা কীভাবে নিয়ে আসব? মিজোরাম-মণিপুর দিয়ে ঢুকবে? বর্ডারে বিএসএফ, আইটিবিপি এরা সব কেন্দ্রের। ভিতরে ভিতরে যোগাযোগ রাখবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ১২ লক্ষ সেল্ফ হেল্ফ গ্রুপের মেয়েরা স্বনির্ভর। তাঁরা আত্মসম্মান নিয়ে কাজ করবেন। জেলায় জেলায় শপিং মল সরকার বানাচ্ছে। সেখানে দুটো তলা এদের জন্য থাকবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: গত কয়েকদিন কিছু দুষ্কৃতী গুজব ছড়াচ্ছে, কাটেক্টরে খাতিয়ান নম্বর ১ এ ধর্মীয় স্থানগুলো মসজিদ কবরস্থান নথিভুক্ত করা হয়েছে। এটা মিথ্যা কথা। সব ধর্মে গদ্দার থাকে। কিছু কুলাঙ্গার থাকে, যারা বিজেপির টাকা খেয়ে মিথ্যা প্রচার করে। এআই দিয়ে এই সব করা হচ্ছে। বিজেপির অনেক টাকা, নোটবন্দির টাকা, চুরি-ডাকাতির টাকা। গ্রামের মানুষ বুদ্ধিমান মানুষ। তাঁরাই চাল বানায়।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এর জন্য আমায় অনেক গালিগালাজ শুনতে হয়। আমি রমজান, ইফতারে গেলে হিজাবি বলে। আমি যখন গুরুদ্বারে যাই, মাথায় কাপড় দিই। তখন তো বলেন না। আমি যতদিন বাঁচব সব ধর্মের পরম্পরা মানব। আদিবাসীর নাচের সময় ওদের ড্রেস পরি কারণ, ওদের সম্মান দিই।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি জগন্নাথ ধামও যেমন করি, আমি তেমন মুসলিম বেড়িয়াল গ্রাউন্ডেও কবরস্থান করি। পুরহিতদের পাশাপাশি মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিই। আমি লোকশিল্পীদেরও দিই। কাজেই একাজ আমরা করেছি,করব। কিছু কিছু কথা সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করছে। ওয়াকফ নিয়ে আমরা নাকি কিছু করিনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আইন পাশ করেছিলাম। জোর করে সম্পত্তি কাড়া যাবে না। দুই, ৮২ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তি আমরা আসার আগেই কেন্দ্রীয় পোর্টালে ছিল। আমরা করি। তবে নতুন যে পোর্টাল করেছি, এখন যে পোর্টাল করেছি সেটা WMC পোর্টাল। এবং UMWD এর পার্থক হল আপলোড প্রক্রিয়া। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। আগে আপলোড করত ওয়াকফ বোর্ড। এখন আপলোড করত মতুয়ালিরা। এরা কাদের লোক? কোন সম্প্রদায়ের লোক?আমরা সুপ্রিম কোর্টে কেস করেছি। মতুয়ালিরা আপলোড করবে, করে রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডকে দেবে। তাই নিশ্চিন্তে থাকুন। কারও সম্পত্তি কেউ দখল করবে না। কারও কথায় কান দেবেন না। যা বলছি এখানে দাঁড়িয়ে বলছি। আপনাদের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এক শ্রেণির মানুষের উপর রাগ। সংখ্যালঘু তাড়াও, মতুয়া তাড়াও। এসআইআর করে বিজেপি আরও গেছে। যেটুকু ছিল সব যাবে। ওদের শূন্য করে দিন। বিহারে চালাকি করে ইন্ডিপেনডেন্ট করে চারটে দাঁড় করেছিল।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সোনালী খাতুনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। উনি গর্ভবতী মা। কেস করে বলেছি ফিরিয়ে আনতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলার বাইরে গেলে অত্যাচার করছে। বিজেপি বাংলা বিদ্বেষী। তাই জন্য বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, রাজা রামমোহনকে অসম্মান করেন। আর আপনাদের বলি, বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পে হবে না। নিজের নাম ভোটার লিস্টে তুলবেন। আমি এখনও তুলিনি, আপনারা যতক্ষণ না তুলবেন, ততক্ষণ আমিও তুলব না। কোথাও সার্ভার ডাউন করে দিচ্ছে। হেয়ারিংয়ে ডাকলে যাবেন। কারণ, নয়ত নাম কেটে দেবে আর বলবে নাগরিক নও এই দেশের। আমরা আপনাদের সাহায্য করব। আমরা ক্যাম্প করছি। আমরা গ্রামসভা বেছে বেছে ‘May I help You’ ক্যাম্প করছি। যার যা সমস্যা হবে বলবেন। করে দেবে। সরকার সরকারের কাজ করবে আর পার্টিও পার্টির কাজ করবে। বিজেপি গায়ের জোরে কাজ করবে ভাবছে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিহারে গোদী সরকার বেছে ভোটের আগে ১০ হাজার দিল। আর যেই ভোট চলে গেল দিল বুলডোজার। হাজার মানুষকে উৎখাত করল। আপনাদের চিন্তা নেই, লক্ষ্ীর ভান্ডার পাবেন। কারও কটু কথায় পা দেবেন না। এখনও ৬ মাস বাকি আছে ভোটের। মানুষকে টাকা দেয় না উন্নয়নের জন্য। অথচ সরকার যাতে কাজ না করতে পারে তার জন্য ছমাস আগে এসআইআর করছে। আমি সব ধর্মকে সম্মান করি। মানুষের অধিকার কাড়লে মানব না…মানব না…মানব না। বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি? ওদের ভাষা এক আমাদের এক। এটা তো ঐতিহাসিক কারণে। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এসআইআর-এ ৪০ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের ২ লক্ষ টাকা দেব। হাসপাতালে যাঁরা আছেন তাঁদের ১ লক্ষ করে দেওয়া হবে। গ্রামের অনেক বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছি। আরও কাজ চলছে। টাকার সংস্থান করতে পারলে আরও করে দেব।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ভাঙন এখানে সমস্যা। প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। এটা কেন্দ্রের অধীনে ছিল, গঙ্গাভাঙন রোধ ও বন্যার জল নিয়ন্ত্রণ। ফরাক্কায় ড্রেজিংয়ের কথা হয়েছিল। ৭০০ কোটি দেবে বলেছিল। তা দেয়নি। আমরাও করতে পারি না। ওরাও করে না। তাই মানুষের সমস্যা হয়। ভাঙন রোধে একটা দেড় হাজার কোটির পরিকল্পনা পাঠিয়েছি এখনও উত্তর দেয়নি। নদী ভাঙনের জন্য ১৭ স্কিম চালু হয়েছে। এর জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার রক্তের হোলি খেলছেন, তাঁরা সতর্ক থাকবেন। ছানাবড়া জিআই প্রোডাক্ট পেয়েছে পরশু দিন। আমি গর্বিত। আমাদের সময়ে প্রায় ৪০টা হয়ে গেল। সাগরদিঘি তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট সুপার ইউনিট পাওয়ার করছি। এটা রাজ্যে সব থেকে বড়। ২০১৭ সালে ঘোষণা করেছি, আজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ১০ ডিসেম্বর থেকে। খরচ হয়েছে কোটি টাকা। ২৬ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বাবা সাহেব আম্বেদকর নির্বাচিত হন বাংলা থেকে। এটা গর্ব। গান্ধিজী গুজরাটে জন্মগ্রহণ করলেও বাংলায় পড়ে থাকতেন। এটাই বাংলা। বাংলার গর্ব নেতাজীর ডানহাত ছিলেন শাহনাওজ খান। কয়েকদিন আগে দেখলাম, রাজ্যসভা থেকে নোটিফিকেশন দিয়েছে, বন্দে মাতরম গান গাওয়া যাবে না।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মুর্শিদাবাদের মানুষ অশান্তির রাজনীতির পছন্দ করেন না। মাঝে ধুলিয়ানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। তবে আমি চলে এসেছিলাম। এরপর জঙ্গিপুরে একটা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল সেইসময় ফোনে বলেছিলাম জাকিরদের, তোমরা হিন্দুদের রক্ষা করো। এটাই নিয়ম। মেজরিটিরা মাইনরিটিদের রক্ষা করবে।
৫ মিনিটে বানান সুস্বাদু পালং শাকের ক্রিস্পি পকোড়া, রইল রেসিপি
ছাব্বিশে বদলে যাবে বিশ্ব! বাবা ভাঙ্গার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী ফেলল আলোড়ন
শীত মানেই কেক-পেস্ট্রির সময়, বাড়িতে সহজে বানান অরেঞ্জ পেস্ট্রি
ফ্যাট টু ফিট! তিল-গুড়ের লাড্ডু কেন শীতকালের সুপারফুড?
ফের হাসপাতালে পলাশ, কেমন আছেন স্মৃতির হবু বর?
কলকাতার কোন জায়গায় পাবেন আসল কাশ্মীরি শাল? ঝটপট জেনে নিন
