CPIM: ‘তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের প্রার্থী,’ একুশের জোটসঙ্গীকে আক্রমণ সুজনের
Sujan Chakraborty: সামশেরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে এসে সুজন চক্রবর্তী কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল না। বলেন, "বামফ্রন্ট এখানে দাঁড়াবে এটা পুরনো সিদ্ধান্তও তাই। ওই নির্বাচনের আগে জোর করে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস।''
মুর্শিদাবাদ: সিপিএমের (CPIM) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি আগেই জানা দিয়েছেন যে, ভোট শেষ, জোটও খতম। কিন্তু উপনির্বাচন তো একুশের ভোটেরই অঙ্গ। এর মধ্যেই একুশের ভোটের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে (Congress) -এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। বললেন, সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস জোর করে প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই সাংসদের ভাইকে প্রার্থী নয়তো? প্রশ্ন সুজনের।
শনিবার সামশেরগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে এসে সুজন চক্রবর্তী কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল না। বলেন, “বামফ্রন্ট এখানে দাঁড়াবে এটা পুরনো সিদ্ধান্তও তাই। ওই নির্বাচনের আগে জোর করে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। যাই হোক যা করেছেন বেশ করেছেন।”
প্রাক্তন বাম বিধায়ক আরও বলেন, “এই নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় পরপর কংগ্রেসের প্রার্থীর বক্তব্য কী ছিল? তিনি তো দাঁড়াবেন না বলে দিলেন। তাঁর বাড়িতেই তাঁর দাদা তৃণমূলের নেতা। এবং তৃণমূলের এমপি যৌথ ব্যবসা ইত্যাদি ইত্যাদি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি আমরা। তাহলে তৃণমূল দাদার প্রশ্রয়ে থেকে কংগ্রেস দলের প্রার্থী হওয়াটা মানে হবে না তৃণমূলকে সাহায্য করতেই এই কাজ?”
তিনি আরও যোগ করেন, “কংগ্রেস যে এখানে প্রার্থী দেবে না সেটাই জনতাম। তারপর আবার দাড়াতে রাজি হলেন কেন? সেই দাদা বলল ভাই তুই একবার দাঁড়িয়ে যা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ তো প্রচুর, সেই ক্ষোভের সুযোগ যাতে বামপন্থীদের ঘরে না যায় তৃণমূল বিরোধী ভোটকে ভাগ করে দিতে হবে। তৃণমূল বিরোধী ভোটকে ভাগ না করলেই কংগ্রেস ভাল করতো বলে আমি মনে করি। কারণ কংগ্রেস প্রার্থী নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেছিলেন তিনি দাঁড়াচ্ছেন না। এখন দেখছি তিনি অথবা প্রতীক কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে। কেন কোন উদ্দেশ্যে? তৃণমূল বা অন্যদের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য কিনা সবাই বুঝতে পারছেন।”
উল্লেখ্য, প্রথমে ভোটে ভোটে লড়ব না ঘোষণা করে দিয়েও শেষপর্যন্ত প্রচারে নেমেছেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী জইদুর রহমান। আবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, জইদুরকে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। তার মধ্যে একজম জইদুরের পরিবারের লোক। এ নিয়ে পাল্টা দেয় তৃণমূলও। কিন্তু এসব ছাড়িয়ে কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রার্থী দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ যে প্রকট হয়েছে, তা সুজনবাবুর মন্তব্যেই পরিষ্কার বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে সংযুক্ত মোর্চার ২ শরিক সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড় করায় প্রথমেই। তখন থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। এর মধ্যে কোভিডের কারণে কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রের ভোট স্থগিত হয়ে যায়। ফের ওই কেন্দ্রকে ঘিরেই কংগ্রেস ও সিপিএমের তরজা শুরু হল।
আরও পড়ুন: Murder: স্ত্রী’র মাথা থেঁতলে শাড়ি জড়িয়ে খাটে শুইয়ে রেখে পালাল স্বামী