সাগরদিঘি: সাগরদিঘি (Sagardighi) উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনও রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে। উপ-নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস জেতার পরই যেন বাড়তি অক্সিজেন ঢুকছে হাত শিবিরে। এহেন সাগরদিঘিতে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ব্লকের একাধিক মহিলা। বিষয়টি জানার পরই আসরে নেমেছে কংগ্রেসও। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাগরদিঘির ব্লকের সামনে ধর্নায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ না পাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, “এটা রমজান মাস। গরিব মানুষ এখানে বিধবা ভাতা, লক্ষ্মীর ভান্ডার, বার্ধক্য ভাতা পেয়ে থাকেন। ভোটের সময় যে প্রকল্পের সুবিধা সাগরদিঘির মানুষ পেয়েছিলেন এখন তাঁরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিনের পর দিন তাঁদের লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। সেই টাকা অন্যখাতে খরচ করা হচ্ছে। সরকার যুক্তি দিচ্ছে তাদের ঘরে টাকা নেই। তাই লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমরা সরকারকে বলতে চাই যখন সব কিছুর জন্য টাকা থাকে তখন লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্যও তোমাকে টাকা জোগাড় করতে হবে। এটা তোমার দায়িত্ব।” সরকারি প্রকল্পের টাকা সাধারণ মানুষের ট্যাক্স থেকে দেওয়া হয় বলে এ দিন রাজ্য সরকারকে ফের আরও একবার মনে করান কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, “এই প্রকল্পের জন্য সাধারণ মানুষ ট্যাক্স দিয়ে থাকে। কেউ নিজেদের পকেটের টাকা থেকে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছে না। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে কংগ্রেস জয়ী হওয়ার পর এখানকার প্রচুর মানুষকে নিত্যদিন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে শাস্তি পেতে হবে, লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া যাবে না।”
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায়-জেলায় জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি সভা থেকেই বকেয়া ১০০ দিনের টাকার দাবিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করছেন তাঁরা। এবার খোদ সরকারি প্রকল্পের টাকা বন্ধের অভিযোগ রাজ্য সরকারের দিকে।
যদিও অধীর চৌধুরীর অভিযোগ মানতে নারাজ কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “এসব কথার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। যারা বিজেপি করে, সিপিএম করে, যারা কংগ্রেস করে তারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পায় না? আমি তো কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিছিল দেখলাম। মিছিলে ২-৩ জন লাল পতাকা নিয়ে সাইকেলে যাচ্ছে। সাইকেলটা সবুজ সাথীর। তার ছেলে বা মেয়ে হয়ত পড়ুয়া, তাকে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিরোধী দল বলে সরকারি সুবিধা পায় না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এভাবে চলে না।”