Corruption in Cooperative Bank: সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটির লেনদেন? অভিযোগ TMC বিধায়কের বিরুদ্ধে
Corruption in Cooperative Bank: ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সৌম্য চক্রবর্তী অবস্থা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমার মনে হয় বিধায়কের সম্মানহানি করার জন্য এটা করা হয়েছে। যে ফোনালাপ সামনে এসেছে তাতে কোথাও ব্যাঙ্কের নাম, ব্রাঞ্চের নাম বা আমার নাম নেই।
কান্দি: সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাঙ্কে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ। সেই টাকা নাকি ঘুরপথে গিয়েছে তৃণমূল বিধায়কের অ্যাকাউন্ট। এই অভিযোগ সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই আবার ভাইরালও হয়েছে একটি অডিয়ো ক্লিপ। সেই অডিয়ো ক্লিপেই শোনা যাচ্ছে কীভাবে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব সরকারের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে সমস্ত টাকা। কীভাবে খোলা হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তার বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়েছে তাতে। বিজেপির অভিযোগ, ওই ফোনালাপে যে দুই ব্যক্তির কণ্ঠ শোনা যাচ্ছে তা সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও এক ঠিকা সংস্থার কর্মীর। যদিও এই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা।
কান্দি সেন্ট্রাল কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সৌম্য চক্রবর্তী অবস্থা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমার মনে হয় বিধায়কের সম্মানহানি করার জন্য এটা করা হয়েছে। যে ফোনালাপ সামনে এসেছে তাতে কোথাও ব্যাঙ্কের নাম, ব্রাঞ্চের নাম বা আমার নাম নেই। যে গলা শোনা গিয়েছে সেটা আমার নয়। আমার কথা বলার কায়দাও এরকম নয়।” উল্টে তিনি আবার বল ঠেলেছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোর্টে। বলছেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স দিয়ে এখন অনেক কিছু করা যায়। মাননীয় বিধায়কের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কান্দি ব্লকের জন্য, সময়বায়গুলির উনি যা করছেন তা যথেষ্ট। এটা বানানো বিষয়। এই ভয়েস আমার নয়। আর যার সঙ্গে কথা হচ্ছে বলা হচ্ছে তিনি আমার পরিচিত নন।”
যদিও বিজেপির দাবি যে কণ্ঠস্বর ভাইরাল হয়েছে তা সৌম্য চক্রবর্তীরই। বিজেপি নেত্রী বিনীতা রায় বলছেন, “ব্যাঙ্ক ম্যানেজাররা নিজের পদ ধরে রাখতে বড়বড় নেতাদের খুশি করতে এটা করছে। এটার নিন্দা করছি আমরা। এটা দুঃখজনক ঘটনা। আমরা চাই এ ঘটনার তদন্ত হোক। সিবিআই, ইডি এর তদন্ত করুক।” অন্যদিকে এ ঘটনায় বিধায়ক অপূর্ব সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।