মুর্শিদাবাদ: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের উদ্যোগে শুক্রবার পটনায় বৈঠকে বসেছিল দেশের ১৫টি বেশি বিরোধী দল। কংগ্রেস, তৃণমূল, আরজেডি, জেডিইউ, সিপিএম, সিপিআই, এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা, ডিএমকে, পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, আপের মতো দেশের বিরোধী দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। বৈঠকে দিল্লির অধ্যাদেশ নিয়ে কংগ্রেস ও আপের মধ্যে মতানৈক্য হলেও বৈঠক শেষে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছেন রাহুল গান্ধী, নীতীশ কুমার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু এই বৈঠক নতুন কিছু নয় বলে মনে করেন সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন তিনি। বিজেপি ও তৃণমূল উভয়ের বিরুদ্ধেই সিপিএম লড়বে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিরোধীদের বৈঠকের প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “এটা প্রথম বৈঠক নয়। এক বছর ধরে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপ, বিআরএস, অখিলেশ তৃতীয় ফ্রন্টের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তৃতীয় ফ্রন্ট করলে চলবে না। ভোট তিন ভাগ করা যাবে না। বিজেপি বিরোধী গোটা দেশে এক করতে হবে। ঐক্যের রাজনীতি প্রথম থেকে এই কাজ করে আসছে। তখন দক্ষিণপন্থী দলগুলি কটাক্ষ করত।”
জাতীয় পর্যায়ে জোট সম্ভব নয় বলেও মনে করেন সেলিম। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক দলগুলিকে লড়তে হবে বলে মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ভোটের সময় কোনও জাতীয় স্তরের জোট হবে না। বাস্তবতাকে মানতে হবে। এটা আগেই সিপিএম বলেছে। যাতে গোটা দেশের নিরিখে সামনের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তোলা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে। সেই রকম রাজনৈতিক পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে হবে।”
এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূলের ভূমিকাকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ঘাসফুল শিবিরকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কখন বিজেপির সঙ্গে থাকবে তা নির্ভর করবে কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিষেককে তলবের উপর। সিবিআই-এর চার্জশিট থেকে বাঁচতে। এখানে বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করব।”