মুর্শিদাবাদ : ময়নাগুড়িতে বড়সড় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন একাধিক রেলযাত্রী। বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হওয়ার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই দুর্ঘটনায় রেলের গাফিলতির প্রশ্নই সামনে আনলেন রেল মন্ত্রকের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, এই দুর্ঘটনায় রেলের গাফিলতিই স্পষ্ট হচ্ছে। রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার পথে ময়নাগুড়ির কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয় বিকানের এক্সপ্রেস। দোমহনির কাছে গুয়াহাটি -বিকানের এক্সপ্রেসের একটি বগির অন্য বগির ওপর উঠে যায়। একাধিক বগি লাইনচ্যূত হয়ে যায়। আপাতত তিনজনের মৃত্যুর খবর সামনে এলেও সেই সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আহত শতাধিক। এই দুর্ঘটনার পরই রেল অধীর চৌধুরীর দাবি, রেল মন্ত্রক সতর্ক হলে এড়ানো যেত দুর্ঘটনা।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ট্রেন লাইনের দিকে কি নজর দেয়নি রেল? কী ভাবে এমন একটা ঘটনা ঘটল?’ তাঁর দাবি, অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে রেল মন্ত্রক। সেই কারণে নিরাপত্তায় খামতি থেকে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বর্তমানে আলাদা করে রেলের বাজেট হয় না। মোদী সরকারের আমলে বাজেট পদ্ধতিতে বদল এসেছে। অধীরের দাবি, এর ফলে রেলের জন্য যে আলাদা ব্যবস্থা ছিল, সেটা উঠে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা টিকিট কাটছেন গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য। আর সেই যাত্রাপথে যদি মৃত্যু হয় তা মেনে নেওয়া যায় না।’
নিহত যাত্রীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। আহত যাত্রীদের দ্রুত আরোগ্য কামনাও করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি অবিলম্বে এই দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। আরও দ্রুত উদ্ধার কাজের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, দুর্ঘটনার পর গোল্ডেন আওয়ার বা সোনালী সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে উদ্ধার করলে অনেক যাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন : ময়নাগুড়িতে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা নিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন মোদী, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা কেন্দ্রের