মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চলছে। ছাপা হচ্ছে নকল ব্যালট পেপার। বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে মানুষের রায়কে। এদিন বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে এই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। যা নিয়ে সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল। অধীরের দাবি, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা থেকে আজ পর্যন্ত এটাই চলছে। যার অঙ্গ হিসাবে তৃণমূলের (Trinamool Congress) ক্রীতদাসকে নির্বাচন কমিশনারের পদে বসানো হয়েছে। নির্বাচনের সময়সীমা এমনভাবে কমানো হল যাতে বিরোধী দলেরা অপ্রস্তুত অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নামতে বাধ্য হয়।”
অধীরের দাবি, সরকারি দফতর যেখানে ৫টা পর্যন্ত চলে সেখানে মনোনয়ন জমার কাজ ৩টে পর্যন্ত করে দেওয়া হয়। সময় কমিয়ে আদপে বিরোধীদের আটকানোর রাস্তা সুগম করার চেষ্টা করা হয়েছে। এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এক হাত নেন অধীর। বলেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্যও ব্যাপক সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এতে পুলিশ-প্রশাসন জড়িত। তাই হাজার হাজার প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। ইতিমধ্যে ৮ থেকে ১০ জনের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। তারপরও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত নন। তাই তাঁকে নিজেকে শেষে মাঠে নেমে বলতে হচ্ছে আমাকে ভোট দিন। এরপর থেকে চুরি বন্ধ হয়ে যাবে।” তবে তখনও আসল বোমাটা ফাটাননি অধীর। এরপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করে বসেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই অধীর আরও বলেন, “আর একটা বড় বিষয় আছে। ব্যালট পেপার জোড়া ছাপা হচ্ছে। সেই ব্য়ালট পেপার নির্বাচনের দিন বুথ থেকে স্ট্রং রুমে যাওয়ার পথে পরিবর্তিত হবে। সেই ব্যালট পেপার যাঁরা ছাপান, যে অফিসারদের কাছে কম্পিউটারের চাবি থাকে, সেই চাবি পুলিশ চাইছে। সেই চাবি দিতে অস্বীকার করায় পুরুলিয়ায় তিন অফিসারকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সাফ দাবি, বাংলায় ভয়ঙ্কর কারচুপির খেলা চলছে। মানুষের ভোটকে পরিবর্তন করে নকল ব্যালটের মধ্য দিয়ে জয়কে নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। বাংলার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে প্রশাসন-পুলিশ সবাই সক্রিয় হয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে।