মুর্শিদাবাদ: সন্তান হোক দশজনের একজন। পড়াশোনা করুক মন দিয়ে। কমবেশি সব মা-বাবাদেরই তাঁদের সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ন থাকে। কিন্তু কোনও বাবা নিজের মেয়েকেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বাধা দিচ্ছেন শুনেছেন এমনটা? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটা হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে বছর ষোলোর তাহরীমা খাতুন। অভিযোগ, মেয়ে যাতে পরীক্ষা দিতে না পারে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন বাবা। বিগত কয়েকদিন ধরে বাড়িতে তুমুল অশান্তিও করছেন। মারধরও করা হয়।
ইমামনগর হাইস্কুলে পড়াশোনা তাহরীমার। মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার পড়েছে ফরাক্কা অর্জুনপুর হাইস্কুলে। কিন্তু, তার মায়ের অভিযোগ মেয়েকে কিছুতেই পরীক্ষায় বসতে দিতে চাইছেন না তাঁর স্বামী। রাতভর বাড়িতে অশান্তিও করেছেন। শনিবার সকাল হতে না হতেই মাকে নিয়ে সোজা ফারাক্কা থানায় চলে যায় ওই ছাত্রী। ফরাক্কা থানার আইসি দেবব্রত চক্রবর্তীকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। তিনিই নিজে উদ্যোগ নিয়ে সোজা ওই ছাত্রীকে নিয়ে চলে যান অর্জুনপুর হাইস্কুলে। পরীক্ষাতে বসিয়ে দেন ছাত্রীকে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথমদিনে প্রথম ভাষার পরীক্ষার পর এদিন ছিল দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। স্বামী রফিকুল শেখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে তাহরীমার মা বলছেন, কাল থেকে মেয়েটাকে খুব মারছিল আমার স্বামী। রাতেও মারে। তার আগে আমাকে মারধর করে। মেয়ে প্রতিবাদ করলে ওকেও মারতে থাকে। আসলে আমাদের বাড়িতে টাকার খুব টানাটানি। তা নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। খাওয়া-দাওয়া ঠিক মতো হচ্ছিল। এরমধ্যে মেয়েটা পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। কিন্তু, ওর বাবা কিছুতেই দিতে দিচ্ছিল না। বলছে পরীক্ষা দিতে যাওয়া যাবে না। মেয়েটা দিতে চাইলে আরও মারধর বাড়ে। শেষ পর্যন্ত আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হই।