মুর্শিদাবাদ: আরজি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। আর্থিক তছরূপের ঘটনার পাশাপাশি শনিবার তিলোত্তমার ঘটনাতেও গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। একদিকে,সিবিআই তদন্ত করে বিস্ফোরক সব তথ্য বের করছে, অপরদিকে সন্দীপের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে সোচ্চার হতে শুরু করেছেন তাঁর প্রতিবেশী থেকে বন্ধু বান্ধবরাও। এবার সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম সারির যোদ্ধা। তাঁর অভিযোগ, সন্দীপ ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটিকে সম্মান করতেন না। তিনি একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতেন। তারপর তাঁদের উপর নির্যাতন করতেন।
কাজী আলি আফতাব বলেন, “উনি ফেসবুকের মাধ্যমে ট্রান্সজেন্ডারদের ফোন নম্বর জোগাড় করতেন। তাঁদের ডেকে পাঠাতেন। এরপর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতেন। তবে এই সম্পর্ক তৈরির পিছনে বাজে বা খারাপ কিছু আছে বলে মনে হয় না আমার। কিন্তু যে ভাবে উনি ওঁর যৌনতা প্রকাশ করতেন তাতে আমাদের অবজেকশন আছে।”
একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “উনি কামড়ানো-খিমচানো-মারা এই ধরনের ব্যবহার করতেন। আমাদের কমিউনিটির তিনজনের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। কিন্তু তারা থানায় সেই সময় যেতে পারেননি। যেহেতু উনি প্রভাবশালী তার উপর আবার ডাক্তার ছিলেন। তারপর উনি সমাজের স্বীকৃত মানুষ।”
ওই ব্যক্তির এও দাবি, “এই নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে হয়ত বলবে আপনি স্বেচ্ছায় সম্পর্কে গিয়েছেন। তখন নির্যাতিতা বা নির্যাতিত যেই হোন না কেন দোষী হয়ে যান।”