মুর্শিদাবাদ: তিলোত্তমার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের? ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির প্রথম শ্রেণির যোদ্ধা কাজী আলি আফতাব তেমনই আশঙ্কা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটির সদস্যদের সম্মান দিতেন না এই ডাক্তার। তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করে পরে শারীরিক নির্যাতন করতেন।
রবিবার টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজী আলি বলেন, “তিলোত্তমার ঘটনায় যে সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেফতার করা হয়েছে, হয়ত তাঁর সঙ্গে সন্দীপের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে।” এরপরই তাঁর প্রশ্ন, “নয়ত অভিযুক্ত সব দোষ নিজের মাথায় নিয়ে নিচ্ছে! এমনি-এমনি তো কেউ নিজের মাথায় দোষ নেবে না। আর ওঁর যেমন স্বভাব, উনি এমন সম্পর্কে লিপ্ত থাকবেন না এর কোনও গ্যারান্টি নেই।”
প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার পর যখন কলকাতা পুলিশের হাতে অভিযুক্ত সিভিক গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই সময় প্রথমেই তিনি পুলিশের কাছে ফাঁসির আবেদন করেছিলেন। দোষ স্বীকার করে বলেছিলেন, “আমায় ফাঁসি দিন…” এ দিন হয়ত সেই বিষয়টিই বোঝাতে চেয়েছেন কাজী আলি আফতাব। বস্তুত, আরজি করের ঘটনার তদন্তে নামার পর অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের ফোন ঘেঁটে একাধিক নীলছবি খুঁজে পেয়েছিলেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। কার্যত চমকে ওঠেন তাঁরা। গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, অভিযুক্ত এমন ধরনের নীলছবি দেখতেন যা সাধারণ মানুষ দেখেন না। এই সবের তদন্ত যখন একদিকে চলছে, সেই সময় দাঁড়িয়ে কাজী আলি আফতাবের বিস্ফোরক অভিযোগ আরও জল্পনা বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।