সামশেরগঞ্জ (মুর্শিদাবাদ): থামছে না ভাঙন। লাগাতার গঙ্গা ভাঙন চলছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে। কখনও ডুবে গিয়েছে আস্ত বাড়ি, কখনও আবার নদী গর্ভে চলে গেছে মন্দির। গঙ্গা ভাঙনের জেরে বিপর্যস্ত সেখানেকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান ও গঙ্গায় অনিয়মিত ভাবে জল ছাড়ার প্রতিবাদে ফরাক্কা ব্যারেজ জেনারেল ম্যানেজারের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
মঙ্গলবার বিকেলে ফরাক্কার জিএম অফিসের সামনে এই অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজনও সামিল হন বিক্ষোভে। দফায়-দফায় স্লোগান বিক্ষোভে কার্যত উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা থানার পুলিশ। অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূলের জঙ্গিপুর জেলা যুব সভাপতি হাবিব পারভেজ, সামসেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনোয়ারা বেগম, ব্লক তৃণমূল সভাপতি সহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে ফরাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা বন্ধ না হলে আগামীদিনে বৃহত্বর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘সামশেরগঞ্জে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বাড়ি ভেঙে চলেছে। ফরাক্কা ব্যারেজে প্রতিদিন জল ছাড়ার কারণে এই অবস্থা হয়েছে। সেই কারণে আমরা এসেছি এখানে বিক্ষোভ দেখাতে।’
উল্লেখ্য, রবিবার গঙ্গার গ্রাসে চলে যায় সামসেরগঞ্জের মহেশটোলা এলাকার আস্ত তিনতলা বাড়ি। চোখের সামনেই নিজেদের নিঃস্ব হয়ে যেতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকুও চলে যাওয়ায় কপালে হাত বাসিন্দাদের। তিল তিল করে গড়ে তোলা আস্ত দোতলা তিনতলা বাড়ি নিমেশেই গঙ্গা গর্ভে চলে যেতে দেখে আতঙ্কে এলাকাবাসী।ভাঙনের হাত থেকে বাড়ির সামগ্রী রক্ষা করতে কয়েকশো পরিবার অন্যত্র আশ্রয়ের সন্ধানে চলে যাচ্ছেন।স্থামীয় বাসিন্দা বলেন, ‘প্রায় সাতটা বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। প্রায় দশ থেকে বারোটা বাড়ি শেষ। এই অবস্থায় আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি। প্রতিদিন জল বেড়েই যাচ্ছে। এমনটা কখনও দেখিনি। আর গভীরতা অনেক বেশি। কোথায় ১২০, ১৫০ ফিট গভীর। এখন কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’