AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Murshidabad: মাটিতে লেগে রয়েছে পা, ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন

Murshidabad: মৃতের পরিবার জানিয়েছে, সোমবার সন্ধেতেও মা ও স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন সাদ্দাম। রাতে তাঁর স্ত্রী একাধিকবার ফোন করেন। কিন্তু, সাদ্দাম ফোন ধরেননি। মঙ্গলবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।

Murshidabad: মাটিতে লেগে রয়েছে পা, ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন
কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃতের স্ত্রীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2025 | 7:28 AM
Share

মুর্শিদাবাদ: ভিনরাজ্যে বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তারই মধ্যে চেন্নাইয়ে কাজে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। সাদ্দাম হোসেন নামে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। পরিবারের অভিযোগ, সাদ্দামকে খুন করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার স্বরূপনগর গ্রামে বাড়ি সাদ্দাম হোসেনের। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, মাস তিনেক আগে বছর চব্বিশের সাদ্দাম তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে যান। রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ঝুলন্ত দেহের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন।

মৃতের পরিবার জানিয়েছে, সোমবার সন্ধেতেও মা ও স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন সাদ্দাম। রাতে তাঁর স্ত্রী একাধিকবার ফোন করেন। কিন্তু, সাদ্দাম ফোন ধরেননি। মঙ্গলবার ওই পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পায় পরিবার।

সাদ্দামের মা বলেন, “ছেলে সোমবার সন্ধেবেলা আমায় ফোন করেছিল। বলল, মা আমি আজ টাকা পেয়েছি। কিন্তু, ব্যাঙ্কে পাঠাতে পারছি না। আমায় আধার কার্ডের ডেরক্স পাঠিয়ে দাও। তারপর আর কথা হয়নি।” মৃতের স্ত্রী বলেন, “রাতে আমি কয়েকবার ফোন করেছিলাম। একবার ফোন ধরেও কেটে দেয়। আর ফোন ধরেনি। আমরা তখন ঘুমিয়ে পড়ি।”

প্রতিবেশীরা বলেন, “মঙ্গলবার ঠিকাদার ফোন করে জানায়, সাদ্দামের মৃত্যু হয়েছে। সাদ্দামের ঝুলন্ত দেহের ছবিও পাঠায়। সেখানে দেখা যায়, মাটিতে পা লেগে রয়েছে। তাহলে সে মারা গেল কীভাবে? সেখানকার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।” মৃতদেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।