বড়ঞা: বাপের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই কাটত দিন। আর তাই বাবা বিয়ে দিয়েছিলেন মূক-বধির পাত্রের সঙ্গে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি এসেও মেলেনি সুখ। অভিযোগ স্ত্রীকে নিয়মিত অত্যাচার করত ওই মূক-বধির স্বামী। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নববধূ। কিছুদিন আগেই মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। এবার কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাওয়া গেল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া জেলা এপার বাংলার মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)।
ভরদুপুরে মূক-বধির গৃহবধূ ও তাঁর সাত মাসের শিশু কন্যাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার দেওয়ার গ্রামে। বছর সাতাশের মধুমিতা ঘোষ ও তাঁর সাত মাসের শিশু কন্যা ঐশানি ঘোষকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলিকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশেও অভিযোগ জানিয়েছে মধুমিতার পরিবার। তারপরেই গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার স্বামী প্রশান্ত ঘোষ ওরফে সন্তুকে।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতার দাদা সুরজ মণ্ডল বলেন, “এর আগেও প্রশান্ত আমার বোনকে মারা চেষ্টা করে। এলার্জির ওষুধ খাইয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। সেই সব রিপোর্ট আমার কাছেই আছে। দীর্ঘদিন থেকেই অত্যাচার করত। এটা ঘটনা খুন ছাড়া আর কিছুই নয়। আমরা এর বিচার চাই।” মৃতার দাদার আরও দাবি কন্যা সন্তান হওয়ার পর থেকেই বোনের উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। নিজেরই কন্যা সন্তানকে মেনে নিতে পারত না অভিযুক্ত, এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। এদিকে উৎসবের আবহে এই নৃশংস ঘটনায় স্বভাবতই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।