মুর্শিদাবাদ : দুর্গা পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা গোটা বাংলা। যে পাঁচদিনের জন্য সারা বছরের অপেক্ষা, আজ তার তৃতীয় দিন। মহাষ্টমীর সকাল থেকেই মণ্ডলে মণ্ডপে অঞ্জলি দেওয়ার ধুম। বেশির ভাগ মহিলাই এ দিন শাড়ি পরে অঞ্জলি দিতে যান বাড়ির কাছে কোনও মণ্ডপে। কিন্তু সেই দিনই ঘট গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অঞ্জলি দিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। চাঁদা দেওয়া নিয়ে স্থানীয় কিছু লোকজনের সঙ্গে বচসা চলছিল পুজো কমিটির কর্তাদের। সেই গণ্ডগোলের মধ্যে পড়েই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদের ঘটনা।
মুর্শিদাবাদের কাটিগঙ্গা রেলব্রিজের পাশে সন্ন্যাসীডাঙ্গার একটি মণ্ডপে এই ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকালে। ঘটনাটি কাটিগঙ্গা রেলব্রিজের পাশে সন্ন্যাসীডাঙ্গার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার সময় কার্যত মারপিট হয়। পূজো কমিটির এক সদস্যের স্ত্রী স্থানীয় কিছু মানুষকে বলেছিলেন, চাঁদা না দিলে পূজোর অঞ্জলি দেওয়া যাবে না। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিবাদের সূত্রপাত।
এরই মাঝে মাটিতে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান স্থানীয় এক মহিলা। মৃতার নাম সুচিত্রা মণ্ডল। ঘটনার পর তাঁকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
মৃতার এক আত্মীয়া জানান, এ দিন সকালে প্রতিবারের মতোই অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন সুচিত্রা। সেখানে চাঁদা দেওয়া নিয়ে বচসা হয়। সুচিত্রা মণ্ডলের প্রতিবেশি একটি পরিবারের লোকজন ওই মণ্ডপে গিয়ে বচসায় জড়ান বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যেই কেই সুচিত্রা ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ জানিয়েছে মৃতার পরিবার। মৃতার জা বলেন, ‘পুজো তো দিদির কপালে ছিল না।’ এই ঘটনায় ওই পরিবারের প্রত্যেকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সুচিত্রার আত্মীয়রা। বিশ্বজিৎ মণ্ডল, বদ্রীনাথ মণ্ডল, সোমা মণ্ডল, বালক মণ্ডল, বুদ্ধদেব মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশবাহিনী।