মুর্শিদাবাদ : ঘরের ভিতরে তখন রয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। বাড়ির আনাচ-কানাচে চলছে তল্লাশি। কোথাও কোনও প্রমাণ লুকিয়ে রাখা আছে কি না, তন্ন তন্ন করে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। হঠাৎ তাঁদের চোখে ফাঁকি দিয়ে পাঁচিল বেয়ে নেমে পড়েন বিধায়ক! পাঁচিলে দাঁড়িয়েই পুকুরে ছুড়ে দেন মোবাইল। এমনই অভিযোগ উঠেছে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বিরুদ্ধে। সেই মোবাইল খুঁজতেই কালঘাম ছুটছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। ভোর থেকেই শুরু হয়েছে পুকুর থেকে জল বের করার কাজ। শুধু তাই নয়, মোবাইল ও পেন ড্রাইভ ঠিক কত দূরে ছুড়ে ফেলা হয়েছে তা জানতে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করছেন তদন্তকারীরা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পিছন দিকের পাঁচিল বেয়ে নেমে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। সেই পাঁচিলের গায়ে দেওয়াল ফুঁড়ে বেরিয়ে আছে কয়েকটি রডের অংশ। তার ওপরে দাঁড়িয়ে পিছন দিক ফিরেই নাকি মোবাইল ফেলে দেন বিধায়ক। সিবিআই আধিকারিকরা তেমনটাই জানাচ্ছেন। শনিবার সকালে সেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন তদন্তকারীরা।
তবে মোবাইলের খোঁজ মেলেনি এখনও। ভোর থেকে পাম্প করে জল বের করার কাজ চলছে। প্রায় ২ ফুটের বেশি নেমেও গিয়েছে জলের স্তর। পুরো পুকুর শুকনো না করে মোবাইল খুঁজে বের করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। প্রশ্ন উঠছে, কী এমন কী আছে ওই মোবাইলে? যা এভাবে নষ্ট করার চেষ্টা করলেন বিধায়ক?
শুক্রবার দুপুর থেকে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে তল্লাশি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে বিধায়ককে। ইতিমধ্যে একগুচ্ছ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তবে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত আরও অনেক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।