মুর্শিদাবাদ: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলার তদন্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। সেই সূত্র ধরেই মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha) অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই সিবিআই তল্লাশির শুরু থেকেই চূড়ান্ত নাটকীয় মুহূর্ত। গোয়েন্দাদের চোখের আড়ালে পাঁচিলে টপকানোর চেষ্টা করেন তিনি। অভিযোগ উঠছে, একটি মোবাইল ফোন ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন পুকুরে। আর সেই ফেলে দেওয়া মোবাইল খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুঁটছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। পুকুর থেকে পাম্প করে জল বের করার কাজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। আর এরই মধ্যে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দা সূত্র মারফত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তল্লাশি অভিযানে কী কী পাওয়া গেল?
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বিধায়কের বাড়ির পাশেই একটি জঙ্গলের থেকে ছ’টি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। এর পাশাপাশি পুকুরে ফেলে দেওয়া ওই মোবাইলের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে সূত্রের খবর। বর্তমানে তিনটি পাম্প ব্যবহার করে জল বের করার চেষ্টা করা হয়েছে পুকুর থেকে। এর পাশাপাশি বাড়ির ভিতর থেকে দুটি ল্যাপটপ ও বেশ কিছু ডিজিটাল নথি পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এদিকে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে যে ছ’টি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে, সেখানেও বেশ কিছু নথি থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি থেকে যে ব্যাগগুলি পাওয়া গিয়েছে, সেখানে টাকা দেওয়া প্রার্থীদের ছবি আছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ, তাদের নথির উপর ছবি সাঁটা আছে। কয়েক কোটি টাকার ঘুষ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
উল্লেখ্য, গতকাল থেকে শাসক বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। গতকাল থেকে শুরু হওয়া তল্লাশি অভিযান এখনও চলছে।
এরই মধ্যে জীবন কৃষ্ণ সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সেই জিজ্ঞাসাবাদের সময়েও বাড়ির পিছনের জঙ্গলে ওই ছটি ব্যাগের বিষয়ে তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও পুকুরে ফেলে দেওয়া মোবাইল ফোনটির সন্ধান এখনও মেলেনি। শনিবার ভোররাত থেকে পুকুরে পাম্প লাগিয়ে জল বের করার প্রক্রিয়া চলছে। মোবাইল কতদূর ছুড়ে ফেলা হয়েছিল, তা বুঝতে ঘটনার পুনর্নিমাণও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।