Murshidabad: “দরজা-জানালা সব বন্ধ করে দেয়, তারপর…”, মুর্শিদাবাদের স্কুলে নাবালকের চরম দুঃসাহস
Murshidabad: স্কুলের মধ্যেই এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সন্ধ্যা অবধি স্কুলের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ দেখান অভিভাবকরা।

মুর্শিদাবাদ: স্কুলের অন্দরে এমন ঘটনা? শরীরে যেন কাঁটা দেবে। একটা নাবালক সেও এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে? ঘটনা মুর্শিদবাদের। সেখানে ভগবনগোলা থানার অন্তর্গত বালিপাড়া গ্রামের একটি স্কুলে বৃহস্পতিবার ঘটে গেল বড় বিপত্তি।
ক্লাস এইটের এক নাবালক ছাত্র আচমকাই গিয়ে হামলা চালাল তার সহপাঠীদের উপর। যার জেরে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে ১১ জন পড়ুয়া। আহতদের তৎক্ষণাৎই নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নসিরপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে সাময়িক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। স্কুলের মধ্যেই এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সন্ধ্যা অবধি স্কুলের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ দেখান অভিভাবকরা।
কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ঘটনা? এক অভিভাবকের দাবি, “ওই নাবালকের আচরণ বরাবরই খারাপ। পড়ুয়ারা নিজের মতো একটি ক্লাসরুমে খেলা করছিল। তখনই অভিযুক্ত নাবালকের সঙ্গে বচসা বাঁধে। এরপরেই ওই পড়ুয়া সেই নির্দিষ্ট ক্লাসের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। তারপর চলে মারধর।” আহত পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অভিযোগ, যে সময় এই ঘটনা ঘটছে তখন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেখানেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সব কিছু দেখেও কার্যকর ভূমিকা নেননি তিনি। বরং থেকেছেন নীরব। আর সেই নীরবতা নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয়দের দেখা যায় প্রতিবাদ জানাতে।
অবশ্য, প্রধান শিক্ষক যে নীরব নন, সেই দাবিই করেছেন ওই স্কুলের শিক্ষক নাজমুল হক। তাঁর দাবি, “ঝামেলা হচ্ছে, এটা আমরা জানতে পারেনি। জানলে সবাই যেতাম। যখন জানতে পারি, তখন প্রত্যেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।” তবে একদিন পেরিয়ে গেলেও ওই নাবালকের বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলেই খবর। এমনকি, প্রধান শিক্ষককে প্রতিক্রিয়া নিতে চাইলেও তিনি দিতে রাজি হননি।

