মুর্শিদাবাদ: আরজি কর কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়েছে। একাধিক মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে প্রথমে দুর্নীতির অভিযোগেই গ্রেফতার করে সিবিআই। বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই আবহে মর্গকর্মীদের টাকা না দিলে মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। অভিযোগ জমা পড়ল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
সাহিন শেখ নামে এক যুবকের এক আত্মীয়ার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন তাঁরা। সাহিন বলেন, “মর্গকর্মীরা দেহ ছাড়ার জন্য টাকা চান। তাঁরা বলেন, আড়াই হাজার দিন। এখনই মৃতদেহ দিয়ে দেব। না হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে থাকুন। তখন আমি বলি, আমরা গরিব মানুষ। এক হাজার টাকা নিন। শেষপর্যন্ত ২ হাজার নিয়ে মৃতদেহ ছাড়ে।” একই অভিযোগ আরও একটি পরিবারের।
এরপরই স্বজনহারা পরিবারগুলি মর্গের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা হইচই শুরু করার পর সাহিনকে ২ হাজার টাকা ফেরত দেওয়া হয়। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই মর্গের কর্মীরা টাকা নেন। তবে সেখানে উপস্থিত এক পুলিশকর্মী জানান, তিনি কিছু জানেন না। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে কার্যত পালিয়ে যান তিনি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতদের পরিজনরা। অভিযোগ করেন, টাকা না দিলে মৃতদেহ আটকে রাখেন মর্গকর্মীরা। স্বজনহারাদের অভিযোগ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে, বিষয়টি তাদের জানা নেই। তারা খতিয়ে দেখছে। কোনও মর্গকর্মী বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি।