মুর্শিদাবাদ: বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে নানা পর্যটনস্থল। একেকটি জায়গার তাৎপর্য একেক রকম। কোথাও নিছকই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নজর কাড়ে আবার কোথাও মিশে আছে ইতিহাসের গন্ধ। এই গ্রামও তেমনই এক ইতিহাসের কথা বলে। সেই অবিভক্ত বাংলা থেকেই এর পরিচিতি। তবে কালের নিয়মে ধুলো জমেছে সেই সব ইতিহাসের পাতায়। এবার দেশের’বেস্ট ট্যুরিজম ভিলেজ’-এর তকমা পেল সেই বরানগর। ভাগীরথীর তীরে এই গ্রামে গেলে এখনও দেখা যাবে সেই ঐতিহাসিক গ্রাম।
মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জে অবস্থিত এই বরানগর। সামনেই ভাগীরথী নদী বয়ে যাচ্ছে। তারই তীরে অবস্থিত এই বরানগর গ্ৰামে ৩৫০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল শিবের মন্দির। বাংলাদেশের নাটোরের রানি ভবানীর সেই কাশির বিশ্বনাথের আদলে তৈরি মন্দির স্থান পেল দেশের সেরা ট্যুরিজম ভিলেজের তালিকায়।
এলাকার মানুষজনের কথা ভেবে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের নাটোরের রানি ভবানী প্রায় ৩৫০ বছর আগে কাশি বিশ্বনাথের আদলে রানি ভবানী ১০৭ শিব মন্দিরের স্থাপনা করেছিলেন এই বরানগর গ্রামে। শুরু করেছিলেন কাশী বিশ্বনাথের মত গঙ্গা আরতিও।
তারপর ভাগীরথী দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রচুর জল। আজ ধ্বংসপ্রায় অনেক মন্দির। তার মধ্যে আবার আশার আলো দেখাল পশ্চিমবঙ্গ ট্যুরিজম। এই গ্রাম থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে হাজারদুয়ারি।
রানি ভবানীর এক বংশধর জানান, ৩৫০ বছর আগে এই ১০৭টি মন্দির একই দিনে, একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তারপর রানি ভবানী নিজে সব দেখাশোনা করতেন। সেই স্মৃতি বরানগর আজও বহন করছে, তবে অনেকটাই মলিন।