মুর্শিদাবাদ: বিধায়ক জাকির হোসেনের অফিস বাড়ি ‘জনতার দরবারে’র কেয়ারটেকারকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। আহতের নাম আরিফ শেখ। শনিবার গভীর রাতে জাকির হোসেনের জনতার দরবারে একদল দুস্কৃতী গিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আগ্নেয়াস্ত্র কপালে ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বর্তমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যাক্তি। কারা এই হামলা চালিয়েছে, তদন্তে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বিধায়ক জাকির হোসেনের ‘জনতার দরবার’ অফিসঘর। এই বাড়িতে বসেই কার্যত দুঃস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন তিনি এই বাড়িতে আসেন। তবে শনিবার ছিলেন না। বাড়িতে ছিলেন তাঁর কেয়ারটেকার আরিফ শেখ।
আরিফ শেখের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার তখন অনেকটাই রাত হয়েছে। রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। আচমকাই দরজায় কড়া নাড়েন বেশ কয়েকজন। তিনি ভেবেছিলেন, স্থানীয় কোনও মানুষ বিপদে পড়ে ডাকছেন। প্রশ্ন করতে দরজার ওপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, পৌরসভা ভোটের জন্য কলকাতা থেকে কাগজ নিয়ে এসেছেন তাঁরা। আরিফ শেখের কথায়, দরজা খুলতেই আচমকা তাঁর চোখে মুখে গুঁড়ো কিছু জিনিস উড়ে এসে পড়ে। চোখ জ্বালা করতে থাকে তাঁর। চোখ চেপে ধরেই মাটিতে বসে পড়েন তিনি। ততক্ষণে তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
মাটিতে ফেলেই কিল-চড়-ঘুষি মারা হয় তাঁকে। কোনও ভাবে তিন জনকে দেখতে পান আরিফ শেখ। চিনে ফেলায় আরও বেশি মারা হয়। অভিযোগ, মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর চিৎকার করতে থাকেন আরিফ। বেশ কিছুক্ষণ দৌরাত্ম্যের পর পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
স্থানীয়রাই আরিফ শেখকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনায় তিন জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন আরিফ। তবে প্রকাশ্যে তাদের নাম বলছেন না তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক জাকির হোসেনকেই ওই তিন জনের নাম বলবেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। কারা হামলা চালিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন হামলা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে একটি সূত্র মারফত খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। তাই প্রকাশ্যে নাম বলতে নারাজ আরিফ। সেক্ষেত্রে বিধায়কেরই হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
আরিফ শেখ বলেন, “তিন জন ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। দরজায় টোকা দেয়। আমি জিজ্ঞাসা করি কে। ওরা বলেছিল পৌরসভা ভোটের জন্য কলকাতা থেকে কাগজ নিয়ে এসেছে। দরজা খুলতেই লঙ্কা গুঁড়ো ছুড়ে মারে। তারপর মাথায় মারে। গলা টিপে ধরে মারধর শুরু করে। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আরও কিছু কথা আছে, যেগুলো সাহেবকেই বলব।”
বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, “প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে। দুষ্কৃতীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায়। আমার বাড়িতে এসে গণ্ডগোল করার সাহস পায় কীভাবে? আমার কেয়ারটেকারকে মারল কীভাবে? পুলিশের ওপর ভরসা রয়েছে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
মুর্শিদাবাদ: বিধায়ক জাকির হোসেনের অফিস বাড়ি ‘জনতার দরবারে’র কেয়ারটেকারকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে। আহতের নাম আরিফ শেখ। শনিবার গভীর রাতে জাকির হোসেনের জনতার দরবারে একদল দুস্কৃতী গিয়ে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আগ্নেয়াস্ত্র কপালে ঠেকিয়ে খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বর্তমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যাক্তি। কারা এই হামলা চালিয়েছে, তদন্তে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
ঘটনার প্রেক্ষাপট
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে বিধায়ক জাকির হোসেনের ‘জনতার দরবার’ অফিসঘর। এই বাড়িতে বসেই কার্যত দুঃস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করেন বিধায়ক। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন তিনি এই বাড়িতে আসেন। তবে শনিবার ছিলেন না। বাড়িতে ছিলেন তাঁর কেয়ারটেকার আরিফ শেখ।
আরিফ শেখের বয়ান অনুযায়ী, শনিবার তখন অনেকটাই রাত হয়েছে। রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েছিলেন তিনি। আচমকাই দরজায় কড়া নাড়েন বেশ কয়েকজন। তিনি ভেবেছিলেন, স্থানীয় কোনও মানুষ বিপদে পড়ে ডাকছেন। প্রশ্ন করতে দরজার ওপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, পৌরসভা ভোটের জন্য কলকাতা থেকে কাগজ নিয়ে এসেছেন তাঁরা। আরিফ শেখের কথায়, দরজা খুলতেই আচমকা তাঁর চোখে মুখে গুঁড়ো কিছু জিনিস উড়ে এসে পড়ে। চোখ জ্বালা করতে থাকে তাঁর। চোখ চেপে ধরেই মাটিতে বসে পড়েন তিনি। ততক্ষণে তাঁর ওপর চড়াও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
মাটিতে ফেলেই কিল-চড়-ঘুষি মারা হয় তাঁকে। কোনও ভাবে তিন জনকে দেখতে পান আরিফ শেখ। চিনে ফেলায় আরও বেশি মারা হয়। অভিযোগ, মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর চিৎকার করতে থাকেন আরিফ। বেশ কিছুক্ষণ দৌরাত্ম্যের পর পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
স্থানীয়রাই আরিফ শেখকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনায় তিন জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন আরিফ। তবে প্রকাশ্যে তাদের নাম বলছেন না তিনি। তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক জাকির হোসেনকেই ওই তিন জনের নাম বলবেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। কারা হামলা চালিয়েছিল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন হামলা তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
তবে একটি সূত্র মারফত খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। তাই প্রকাশ্যে নাম বলতে নারাজ আরিফ। সেক্ষেত্রে বিধায়কেরই হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
আরিফ শেখ বলেন, “তিন জন ঘরে ঢোকে। বাকিরা বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। দরজায় টোকা দেয়। আমি জিজ্ঞাসা করি কে। ওরা বলেছিল পৌরসভা ভোটের জন্য কলকাতা থেকে কাগজ নিয়ে এসেছে। দরজা খুলতেই লঙ্কা গুঁড়ো ছুড়ে মারে। তারপর মাথায় মারে। গলা টিপে ধরে মারধর শুরু করে। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। আরও কিছু কথা আছে, যেগুলো সাহেবকেই বলব।”
বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, “প্রশাসনের ওপর আস্থা রয়েছে। দুষ্কৃতীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায়। আমার বাড়িতে এসে গণ্ডগোল করার সাহস পায় কীভাবে? আমার কেয়ারটেকারকে মারল কীভাবে? পুলিশের ওপর ভরসা রয়েছে।”
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা