মুর্শিদাবাদ: নওদায় সমবায় সমিতির ভোটে তুলকালাম। ভোট চলাকালীন তৃণমূলের সঙ্গে বাম কংগ্রেস কর্মীদের সংঘর্ষ। ব্যাপক বোমাবাজি, চলল গুলিও। শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা নওদার চাঁদপুর এলাকার।
চাঁদপুর সমবায় সমিতির ভোট ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভোট চলাকালীনই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বাম কর্মী সমর্থকরা। বচসা ধীরে ধীরে হাতাহাতির চেহারা নেয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শূন্যে গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এলাকায় বোমাবাজি হয়েছে বলেও অভিযোগ।
বামেদের অভিযোগ, ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠরাই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করেছে। ব্লক সভাপতির অনুগামীরাই নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তাঁরাই মূলত অশান্তি করছে বলে অভিযোগ। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কিন্তু তারপরও ওই এলাকায় ঢুকতে পারছেন না বিরোধীরা। অভিযোগ, পুলিশের মদতেই এসব হচ্ছে। এলাকায় গুলির খোল পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরে সমবায় সমিতির ভোটে বাম ও কংগ্রেস যৌথ ভাবে
শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ভয়েই সন্ত্রাস তৈরি করছে তৃণমূল। বাম নেতার বক্তব্য, “প্রচণ্ড হাস্যকর একটা বিষয়। সমবায় সমিতির ভোটেও এভাবে বোমা-গুলি চালাচ্ছে। শাসকদল গুন্ডাবাহিনী নামিয়ে দিয়েছে। বিরোধীদের এজেন্ট, প্রার্থীদের মারধর করা হয়েছে। যে টেন্টে বসে ভোটের তদারকি করার কথা ছিল বিরোধীদের, সেখানেও তাণ্ডব চালানো হয়েছে। ভোটারদেরও ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে।” বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল হার নিশ্চিত জেনেই এই হামলা করছে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, “এটা পঞ্চায়েত নির্বাচনও নয়। স্থানীয় নির্বাচনেও যদি গুলি চলে, তাহলে বলতেই হবে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। পুলিশ নীরব দর্শক। মস্তানদের শাসনে পুলিশ চলছে।” স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি।