মুর্শিদাবাদ: সকালবেলা স্কুলে গিয়ে শৌচালয়ে বন্ধুদের ব্যাগ খুলে দেখাচ্ছিল দশম শ্রেণির দুই ছাত্র। বেশ কয়েকজন বন্ধু আবার তা নিয়ে বেশ উৎসাহিতও ছিল। কিন্তু বাকিদের কাছে বিষয়টি আতঙ্কের। কারণ নাবালকের ব্যাগের ভিতরে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ফলে কথাটি বেশিক্ষণ চেপে থাকেনি। প্রধান শিক্ষকের কানে চলে পৌঁছে যায়। তারপরই সেই আগ্নেয়াস্ত্র শিক্ষকরা কার্যত কেড়ে নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার অন্তর্গত আন্দুলবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, জানা গিয়েছে, আজ সকালে গিয়ে দশম শ্রেণির দুই ছাত্র আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তা অন্যান্য বন্ধুদের দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই খবর শিক্ষকদের কানে আসে। এমনকী, স্কুলের গেটম্যানকে মারার অভিযোগ উঠেছে ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। ঘটনায় খবর দেওয়া হয় রেজিনগর থানার পুলিশের কাছে। দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে নাবালকদের কাছে কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এল তা জানতে চাইছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দুই ছাত্রের মধ্যে একজন আন্দুলবেড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইপো। অভিযুক্ত ছাত্র বলে, “আমি রাস্তার পাশ থেকে পেয়েছিলাম। বন্ধুদের দেখাচ্ছিলাম। বুঝতেই পারিনি। গেটম্যানকে মারতেই চাইনি।”
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “প্রার্থনা হওয়ার পর একটা ছেলে এসে আমাদের বলল স্যর একটা ছেলের কাছে পিস্তল আছে। ও বন্ধুদের দেখাচ্ছে। কোন ক্লাসে পড়ে জিজ্ঞাসা করলাম। এরপর বাথরুমে গিয়ে তল্লাশি করলাম পেলাম না। তারপর সাত আটজন শিক্ষক মিলে নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের চেক করছিলাম। তারপরই পিস্তল উদ্ধার হয়।” স্কুলের গেটম্যান জাহাঙ্গীর মোল্লা জানান, “ওদের সঙ্গে পরশুদিন আমার ঝামেলা হয়। আমি ওদের ধরতেই আমায় মারধর করে। সেই সময় ওরা বলছিল আজই গেটম্যানকে শুট করে বাড়ি যাব।”