মুর্শিদাবাদ: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের শীর্ষ স্তরের নেতৃত্ব এই কঠিন সময়ে দলের নেতা-নেত্রীদের সংযত থাকার পাঠ পড়াচ্ছেন। দলে যাতে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল না হয়, তার জন্য সদা সতর্ক করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তারই মধ্যে মুর্শিদাবাদে প্রকাশ্যে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলেরই বিধায়ক। বললেন, “প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতি বোমা বাঁধায় যুক্ত।”
শনিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকায় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এদিন ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবির বলেন, “ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজার বর্তমানে কোনও পুলিশের সিকিউরিটি পাবেন না। তাই তিনি বোম বেঁধেছিলেন, সালার থানার পুলিশ সেই বোমগুলো উজুনিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে এবং তদন্ত শুরু করছে।”
প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে দলের বিধায়কের এহেন প্রকাশ্য মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক জলঘোলা। তৃণমূলেরই একাংশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে একটা টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। সেই বিবাদই প্রকাশ্যে এসেছে।
যদিও ভরতপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে নিজের দলেরই প্রাক্তন ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ভরতপুর বিধানসভার বিধায়কের এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়েক মাস আগে ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আজারউদ্দিনকে। হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে তাঁর বিবাদ তারও আগে থেকে। বস্তুত একুশের নির্বাচনের আগে টিকিট পাওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই ছিল। নির্বাচনে হুমায়ুন কবির যখন টিকিট পেলেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই এই বিবাদ আরও তুঙ্গে ওঠে। হুমায়ুন কবিরের পক্ষ নেন নজরুল বলে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। এরপরই আজারউদ্দিন বিরুদ্ধ পক্ষ হয়ে ওঠেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে গত কয়েক মাস ধরে এই বিবাদ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।