মুর্শিদাবাদ: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে, তাঁকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যু হয় ব্লক সভাপতির অনুগামী এক তৃণমূল কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম আলাই সেখ(৫৫)। তাঁর বাড়ি কান্দরা গ্রামের মিল্কিপাড়ায়। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সালার থানার কান্দরা বাসস্টপেজ সংলগ্ন এলাকার।
মালিহাটি পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো সঞ্চালক রউফ আলি দলীয় কার্যালয় থেকে মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিল। তাঁর মোটর বাইকের পেছনে বসে ছিল মৃত তৃণমূল কর্মী অর্থাৎ রউফ আলির কাকা আলাই শেখ। সেই সময় দুষ্কৃতীরা রউফ আলিকে প্রাণে মারার উদ্দেশ্যে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে।
ঘটনাস্থল থেকে কোনওরকমভাবে রউফ আলি দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, পালাতে পারেনি আলাই সেখ। ব্লক সভাপতির অভিযোগ সেই সময় তাঁকে বোমা মারা হয় পরে লোহার শাবল কাঠের চেলা ও ভোজালি দিয়ে মারধর করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের বক্তব্য, “এখানে গোষ্ঠী কোন্দল কোন নতুনত্ব নয় সবাই জানে। আমি মুস্তাফিজুর রহমানকে ব্লক সভাপতি হিসেবে মানি না, মুস্তাফিজুর রহমান আমাকে ব্লক বিধায়ক হিসেবে মানে না। তবে খুনের রাজনীতি আমি চাই না যারা অপরাধী, তাদের যোগ্য শাস্তি হোক আমরা চাই।”