ভরতপুর: হুমায়ূন কবীরের বিরুদ্ধে পথে নামলেন দলেরই কর্মীরা। উঠল ‘গদ্দার’ স্লোগান। তাতেই সরগরম মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক মহল। ভরতপুর এক নম্বর ব্লকে প্রকাশ্য়ে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। চরমে বিধায়ক-ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্ব। রীতিমতো হাতে ঝাঁটা রাস্তায় চলল প্রতিবাদ। কুশপুতুলেও মারা হল ঝাঁটা। এভাবেই এদিন তৃণমূল কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিল বের হতে দেখা গেল ভরতপুর এক নম্বর ব্লক এলাকায়। চরম অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।
‘গদ্দার বিধায়ক দূর হটো, চোর বিধায়ক দূর হটো’, একেবারে দলের কর্মীদের মুখেই শোনা গেল এই জাতীয় স্লোগান। দলীয় পতকা নিয়ে হাঁটলেন রাস্তায়। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই ভরতপুর একের ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল হুমায়ুন কবীরকে। এবার পাল্টা সুর চড়ালেন ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম।
যদিও শুরুতেই তাঁর সাবধানী মন্তব্য, “আমি কিন্তু মিছিলে যাইনি।” তারপরেই বলেন, “সাধারণ মানুষ, তৃণমূলের সাধারণ কর্মীরা আজ পথে নেমেছিল। বিধায়ক যেভাবে দলটাকে শেষ করার চেষ্টা করছেন তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে। এই কর্মীরাই একুশের নির্বাচনে লড়াই করে তাঁকে বিধায়ক বানিয়েছিল। আর তাঁরাই আজ পথে। এদিকে সালারে টাকা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু চার বছর হয়ে গেল ভরতপুরের মানুষ একটা টাকাও পায়নি। মানুষ কোনও পরিষেবা পায় না। সার্টিফিকেট পায় না। সে কারণেই সর্বস্তরের মানুষ পথে নেমেছে।” প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিনে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে হুমায়ুনকে। তাঁর বিরুদ্ধে নালিশও হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এবার এই ঘটনায় নতুন করে শুরু চাপানউতোর। এখন দলের কর্মীদের তাঁরই বিরুদ্ধে মিছিল প্রসঙ্গে হুমায়ুন বলেন, “এর পাল্টা জবাব কাল বিকাল চারটেয় ওরা পেয়ে যাবে। অপূর্ব সকারের নেতৃত্বে এই দাপট দেখাচ্ছে ব্লক সভাপতি। ওদের দু’জনের বিরুদ্ধে কালই মিছিল হবে।”