মুর্শিদাবাদ: বাড়িতে নিত্য অপরিচিত যুবক যুবতীর আনাগোনা থাকত। প্রথম প্রথম আত্মীয় বলেই সাফাই দিতেন। কিন্তু তা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য লাগত না প্রতিবেশীদের কাছে। পরে তাঁরা হাতেনাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন। পাড়ার মধ্যেই চলছে দেহ ব্যবসা! পরিবেশ খারাপ হচ্ছে, একাধিকবার সে কথা বাড়ির কেয়ার টেকারকে বুঝিয়েছিলেন প্রতিবেশীরা। বুঝিয়েছিলেন কর্ত্রীকেও। কিন্তু তাতেও কথা মানেননি। অভিযোগ প্রতিবেশীদের। এবার হাতেনাতে তাঁদের ধরে লাইটপোস্টে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবু বারিক নাম এক ব্যক্তি বাড়িতে মধুচক্রের আসর বসাতেন। তাঁর বাড়িতেই দেহ ব্যবসা চলত বলে অভিযোগ। রোজই নিত্য নতুন যুবকরা বাড়িতে ঢুকতেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পর তাঁরা চলেও যেতেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীদের চোখেও পড়ে সেই বিষয়টা। তাঁরা প্রতিবাদ করলেও বন্ধ হয়নি বিষয়টি।
মঙ্গলবার সকালে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বাড়িতে চড়াও হন। দু’জনকে বাড়ি থেকে বার করে এনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রাখেন। তারপরে রঘুনাথগঞ্জ থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ওই বাড়ির মালিককে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এখানে দেহ ব্যবসা চলে। ২ বছর ধরে চলছে। আমরা অনেকবার বারণ করেছি। এখন ভুল করে কাস্টোমার আমাদের বাড়িতে গিয়েও নক করছে। আমরা লিখিত অভিযোগও করেছি। আজকে একটা ছেলে মেয়ে ধরা পড়েছে।” এলাকার কাউন্সিলর পুরুষোত্তম হালদার বলেন, “এলাকাবাসীরা মাস পিটিশন জমা দিয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলা ছিল।”