Madhyamik Exam 2023 : ঘরে নেই স্বামী, রয়েছে ২ সন্তান; অদম্য জেদকে সঙ্গী করে ৩০ বছরে মাধ্যমিক দিচ্ছেন সখিনা

Koushik Ghosh | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 23, 2023 | 7:38 PM

Madhyamik Exam 2023 : তবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই। কিন্তু, নিজে হাতে রোজগার করতে গেলে করতে হবে পড়াশোনা। টপকাতে হবে স্কুলের গণ্ডি। এ কথা বুঝে গিয়েছিলেন সখিনা।

Madhyamik Exam 2023 : ঘরে নেই স্বামী, রয়েছে ২ সন্তান; অদম্য জেদকে সঙ্গী করে ৩০ বছরে মাধ্যমিক দিচ্ছেন সখিনা
সখিনা খাতুন

Follow Us

মুর্শিদাবাদ : ৩০ বছর বয়সে মাধ্যমিক (Madhyamik Exam 2023)? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই করে দেখালেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়ার চোয়া এলাকার বাসিন্দা সখিনা খাতুন। অদম্য মনোবলকে ভর করে ৩০ বছর বয়সেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন তিনি। প্রায় চার বছর ধরে দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে হরিহরপাড়ার চোয়া এলাকায় এক ব্রাহ্মণ পরিবারে থাকছেন তিনি। চোঁয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার বাড়ি জলঙ্গিতে। প্রায় চার বছর আগে পারিবারিক অশান্তির জেরে দুই সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছাড়েন সখিনা। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বান্ধবী কাকলি রায় চৌধুরী। জায়গা দিয়েছিলেন নিজের বাড়িতে। নিজের মেয়ের মতোই সখিনাকে আপন করে নিয়েছিলেন ব্রাহ্মণ দম্পতি সুভাষ রায় চৌধুরী ও ইলা রায়চৌধুরী। তাঁদের বাড়িতে থেকেই রোজা, ইদ, শবেবরাত পালন করেন সখিনা। প্রায় ১৫ বছর বই খাতার সঙ্গেও তার সম্পর্ক ছিল না।

তবে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর ছোট থেকেই। কিন্তু, নিজে হাতে রোজগার করতে গেলে করতে হবে পড়াশোনা। টপকাতে হবে স্কুলের গণ্ডি। এ কথা বুঝে গিয়েছিলেন সখিনা। আর সে কারণেই নতুন করে পড়াশোনার ইচ্ছা জাগে তাঁর। মাথায় আসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা। তারপর থেকেই জোরকদমে শুরু করে দেন প্রস্তুতি। হাতে তুলে নেন বই খাতা। অবশেষে বৃহস্পতিবার সাহাজাদপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেন সখিনা। তাঁর এই অদম্য জেদ দেখে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। বয়স বাড়লেও শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পেরে খুশি সখিনাও।

স্কুলের সামনে দাঁড়িয়েই সখিনা বলেন, “ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় আমার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর কোনওরকমে ৮ পাস করেছিলাম। তারপর ১৫ বছর বাদে ফের স্কুলে ভর্তি হই। এবার আমি মাধ্যমিক দিচ্ছি। পরীক্ষায় বসতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগছে। প্রস্তুতি ভালই রয়েছে। এখন দেখা যাক রেজাল্ট কেমন হয়। আগামীতে আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছা রয়েছে। আমার নতুন বাবা-মায়েরাও আমাকে খুব সাহায্য করছেন পড়াশোনার বিষয়ে। সকালে দইয়ের ফোটা দিয়েছেন কপালে। তারপর পরীক্ষাকেন্দ্রে আসি।” 

Next Article