মুর্শিদাবাদ: ১৫ বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলায় সাগরদিঘি প্রাক্তন যুব কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের জামিন বন্ডে সই করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার রায়ের ভিত্তিতে সোমবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে সাইদুর রহমানের জামিন বন্ডে সই করেন অধীর। ১৫ বছর আগের একটি ঘটনায় সাইদুর রহমানের গ্রেফতারি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল সাগরদিঘি থানা। ২০২৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাইদুরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ। তারপর গ্রেফতার করা হয় সাইদুর রহমানকে। ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। পুলিশের বিরুদ্ধেই অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস।
১৫ বছর আগের একটি মামলায় উপ নির্বাচনের আগেই কেন সাইদুর রহমানকে গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, ১৫ বছর আগের ঘটনায় কেন ২০২৩-এ অভিযোগ করা হল? কংগ্রেসের আইনজীবী দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক চক্রান্ত করেই এই গ্রেফতারি। এদিকে, বারংবার নোটিস দেওয়ার পরও সরকারি আইনজীবী ও সাগরদিঘি থানার পুলিশ আদালতে হাজির হয়নি। ১৫ বছর পর কেন গ্রেফতারি,তারও কোনও ব্যাখ্যা মেলে না। এরপরই আদালত সাইদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করে।
বুধবার জঙ্গিপুর আদালতে সাইদুর রহমানের জামিন বন্ডে সই করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বলেন, “মিথ্যা কেস দিয়ে আমাদের কংগ্রেস নেতাকে ফাঁসানো হয়েছিল। সামনে সাগরদিঘি উপনির্বাচন। যাতে এই নির্বাচনে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়ে, তার জন্য এখানকার পুলিশ এবং তৃণমূল যৌথ চক্রান্ত করে আমাদের নেতাকে ফাঁসিয়েছিল। তাঁকে কলঙ্ক করার উদ্দেশ্যে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কলঙ্ক করা হয়েছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে।” তাঁর জামিনের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট শর্ত দিয়েছিল এলাকার সাংসদ তাঁর জামিন বন্ডে সই করবেন। মাঝে মাঝে থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। সেই ভিত্তিতে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী জামিন বন্ডে সই করেন।