Murshidabad: খানা-খন্দে ভরা রাস্তায় সটান উল্টে গেল স্কুল ভ্যান, চরম ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
Murshidabad: প্রতিদিন এই রাস্তায় স্কুল পড়ুয়া, সাধারণ মানুষ, গাড়ি চালক এমনকী পর্যটকরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এই রাস্তার ধরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন- স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, কৃরীটেশ্বরী মন্দির ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস রয়েছে।

বহরমপুর: খানাখন্দে ভর্তি রাস্তা। গোটা রাজ্য জুড়েই প্রায় একই ছবি। বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই, সেই খানাখন্দ ভরে যাচ্ছে জলে। সেরকম রাস্তাতেই এবার উল্টে গেল স্কুল ভ্যান। শিশুদের নিয়ে রাস্তায় উল্টে গেল ভ্যানটি। আহত ক্ষুদে পড়ুয়ারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অনুদান বা ভাতা নয়, রাস্তা ও সার্বিক উন্নয়ন হোক সবার আগে।
বুধবার সকালে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে যাওয়ার সময় আচমকা উল্টে যায় স্কুল ভ্যানটি। রাস্তার বেহাল দশার কারণেই ভ্যানটি উল্টে যায়। বেহাল দশার কারণে মাসুল গুনতে হল কচিকাঁচাদের। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা।
মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রামের পলসন্ডা থেকে লালবাগ সদরঘাট যাওয়ার ব্যস্ততম সড়কটি বর্তমানে একাধিক খানাখন্দে ভর্তি। তৈরি হয়েছে মরণফাঁদ। প্রতিদিন এই রাস্তায় স্কুল পড়ুয়া, সাধারণ মানুষ, গাড়ি চালক এমনকী পর্যটকরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এই রাস্তার ধরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান যেমন- স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, কৃরীটেশ্বরী মন্দির ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস রয়েছে। যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। অথচ রাস্তার বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচল তো বটেই! পায়ে হাঁটাও হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য।
অভিযোগ, বড় বড় গর্তে পড়ে যানবাহনের চাকা আটকে যাচ্ছে, ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার এই দুরবস্থা চললেও প্রশাসনের তরফ থেকে স্থায়ী কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। রাস্তার গর্ত ভরতে মাঝেমধ্যে ইট বা ভাঙা রাবিশ ফেলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু দু-এক দিনের মধ্যেই তা উঠে গিয়ে পুনরায় বিপজ্জনক হয়ে উঠছে রাস্তা!
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, এটা পঞ্চায়েতের অধীনে নয়। পূর্ত ভবনের রাস্তা। কিছুদিন আগে রাস্তা মেরামত করা হয়, তবে প্রবল বর্ষায় রাস্তা টিকছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। খুব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
