Murshidabad: গঙ্গার ভাঙন গিলে খেয়েছে মাথা গোঁজার আশ্রয়, প্রশাসনের মুখ তুলে তাকানোর অপেক্ষায় সামশেরগঞ্জ

Samsherganj: এলাকাবাসীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই গ্রামের ঘরহারা মানুষরা। কাগজপত্রও সব জমা দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও কাজ হয়নি।

Murshidabad: গঙ্গার ভাঙন গিলে খেয়েছে মাথা গোঁজার আশ্রয়, প্রশাসনের মুখ তুলে তাকানোর অপেক্ষায় সামশেরগঞ্জ
মুর্শিদাবাদে গঙ্গার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 13, 2022 | 11:15 AM

সামশেরগঞ্জ : ভোট আসে। ভোট যায়। কিন্তু ওদের দুর্দশা আর মেটে না। গঙ্গার ভাঙন গিলে খেয়েছে ওদের মাথার উপরের ছাদ। প্রতিশ্রুতি ছিল, ব্যবস্থা হবে। আশাও ছিল। কিন্তু সেই আশায় আশায় কেউ এক বছর, কেউ আবার দুই বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু মাথার উপর ছাদ আর পাননি। এমন দুর্দশার মধ্যেই দিন কাটছে সারশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা অঞ্চলের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দারা। এই এলাকায় গঙ্গার ভাঙন বরাবরই একটি বড় সমস্যা। এলাকাবাসীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই গ্রামের ঘরহারা মানুষরা। কাগজপত্রও সব জমা দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেভাবে কোনও কাজ হয়নি। এখন যেন কিছুটা হাল ছেড়ে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

কিন্তু কিছু যদি একটা ব্যবস্থা না হয়, তাহলে কী হবে, কোথায় থাকবেন, ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না গৃহহীন এই মানুষগুলো। গঙ্গার ভাঙন বাড়ি গিলে খাওয়ার পর, ওদের কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছিলেন অন্যের বাড়িতে। কিন্তু এভাবে কতদিন? যাঁদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁরাও এখন তাড়া দিচ্ছেন। অন্য কোথাও যাওয়ার জন্য বলছেন। ছোট ছোট সন্তানকে নিয়ে এমন অবস্থায় কোথায় গিয়ে উঠবেন, ভেবে পাচ্ছে না অসহায় ওই মুখগুলি। এখন ওরা চান, অন্তত একবার মুখ তুলে তাকাক প্রশাসন। কিছু একটা ব্যবস্থা হোক অন্তত।

বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নিমতিতা অঞ্চলের পঞ্চায়েত প্রধান মইদুল ইসলামও। তিনি বলেন, “গঙ্গা ভাঙনের সময় যে ক’টা পরিবার ছিল সকলকে তখন সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে আমার তরফ থেকে বলেছি। শুধু ত্রিশটা পরিবার না, ওখানের প্রায় দু’শোটি পরিবারের জন‍্যই সাহায্যের ব‍্যবস্থা করা হোক। যে ক’টা কাগজ এসেছে, তাতে সই করে ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে। বিডিও আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত সমস‍্যার সমাধান হবে।”

গোটা সামশেরগঞ্জ মিলিয়ে গঙ্গার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় দুশো পরিবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর মধ্যে প্রায় একশো টি পরিবার কিছুটা সহায়তা পেয়েছে। কিন্তু বাকিদের অবস্থা এখনও বেশ শোচনীয়। কিন্তু, দ্রুত সমস‍্যার সমাধান হবে সেই আশাতেই ফের দিন গুজরান করছেন এলাকাবাসীরা। কিছুটা হলেও কি হাসি ফুটবে এই অসহায় মুখগুলির দিকে? প্রশাসন কি কোনও ব্যবস্থা নেবে এবার? করুণ মুখগুলি এখন সেই সুদিনের অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন : 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল