Murshidabad: চোখের সামনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ৮টি বাড়ি! মুর্শিদাবাদে অব্যাহত গঙ্গাভাঙন

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 17, 2021 | 2:45 PM

Landslide: এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন,"আমাদের বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। জমি তলিয়ে যাচ্ছে। বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ বানিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্ত তাও কতটা চলবে জানিনা।"

Murshidabad: চোখের সামনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ৮টি বাড়ি! মুর্শিদাবাদে অব্যাহত গঙ্গাভাঙন
গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে গেল বাড়ি

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: গঙ্গা গিলে নিচ্ছে গোটা গ্রাম। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তার ভাঙন। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যাচ্ছে সবকিছু। ঘরের মায়া ত্যাগ করে ইতিমধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন অনেকে। কেউ-কেউ আবার কোনও ক্রমে তাঁবু খাঁটিয়ে থাকতে শুরু করেছেন। কোনও রকমে চলছে দিনগুজরান।

এখন এই ছবিটাই মালদা,মুর্শিদাবাদে আকছাড় হচ্ছে। শনিবার রাতে আবারও নতুন করে গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে ৮টি বাড়ি। সামশেরগঞ্জ ব্লকের ধুলিয়ান পৌরসভার ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামে প্রায় এক মাস থেকে অব্যাহত রয়েছে এই ভাঙন। ফলে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের শিবপুর এলাকায়। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী ধানঘরা হিরানন্দপুর এলাকাতেও।

ইতিমধ্যে অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রশাসনের দিকে। লালপুর এলাকার স্থানীয়রা জানাচ্ছেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়াই হয়নি গঙ্গার পাড় বাঁধানোর। প্রায় এক মাস ধরে গঙ্গা ভাঙন চলছে কিন্তু কোনও সরকারি সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাননি। দ্রুত পাড় বাঁধানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন,”আমাদের বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। জমি তলিয়ে যাচ্ছে। বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ বানিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্ত তাও কতটা চলবে জানিনা। সরকারের কাছে আর্জি দ্রুত বাঁধ তৈরি হোক। যাতে সন্তান নিয়ে আমরা নিরাপদে থাকতে পারি।” এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে প্রায় আটটি বাড়ি। তলিয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে মালদায় গঙ্গার তীব্র ভাঙনে বালুটোলা গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। ৫০০-র বেশি পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছিলেন প্রায় ৭০ মতো পরিবার। কিছুদিন আগে সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন গোপালপুরের ভাঙন পরিস্থিতি দেখে যান। কিন্তু  গৃহহারাদের পুনর্বাসন বা ত্রাণের কোনও ব্যবস্থাও করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। সবচেয়ে করুণ অবস্থা হয় গোপালপুরের। দিনের পর দিন চোখের সামনে সর্বস্ব নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন গোপালপুরের বাসিন্দারা। বিক্ষোভে সামিল হন দেখান দুর্গতরা। কাজ শুরু না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছিলে তাঁরা।

বিপদের শেষ এখানেই নয়। বেঁচে বর্তে খড়কুটো বাঁচিয়ে যাঁরা থেকে গিয়েছেন, তাঁরা শিকার অন্য সমস্যার। দিনের বেশিরভাগ সময়েই গোটা এলাকা জুড়ে চলে লোডশেডিং। আলো মাঝেমধ্যে এলেও সেও না আসার মতো। সন্ধ্যা নামলে আঁধারেই দিন গুজরান। মানিকচকের নুরপুর গ্রামে রোজই পাওয়ার কাটের জেরে সমস্যায় হাজার হাজার মানুষ। অভিযোগ, বিদ্যুত্‍ দফতরকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। পঞ্চায়েত দফতর থেকে বিডিও অফিসে বার বার ছুটোছুটি করেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

আরও পড়ুন: RG Kar Hospital: নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়া বৃদ্ধাকেও ফেরাল আরজিকর, কেউ পেল ‘সান্তনা পুরস্কার’ স্যালাইনের বোতল

Next Article