মুর্শিদাবাদ: মধ্যরাতে আচমকা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হাজির একদল দুষ্কৃতী। সোজা চলে গেলেন তৃণমূল কর্মীর শোওয়ার ঘরে। তারপর শোনা গেল গুলির শব্দ। চমকে জেগে ওঠেন আত্মীয়রা। বুধবার রাত ১২ টা নাগাদ গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে। বাড়িতে ঢুকে পরপর দু রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। একটি গুলি লাগে বুকের কাছে, অপর গুলি পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল কর্মী মনোজ মণ্ডল। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, যাঁরা বাড়িতে ঢুকে গুলি চালিয়েছেন, তাঁরা বিজেপি লোক। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মনোজ আসলে বিজেপিরই লোক।
মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার অন্তর্গত বডারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনোজ কুমার মণ্ডলের স্ত্রী জানাচ্ছেন, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের কর্মী। বুধবার রাতে ঘটনার পরই মনোজের স্ত্রী আশপাশের লোকজনকে ডাকতে শুরু করেন। ছুটে যা প্রতিবেশীরা। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে মনোজের বাড়িতে যায় পুলিশ। তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। স্ত্রীর দাবি, মনোজ কম্বল ঢেকে ঘুমোচ্ছিলেন, সেই সময় গুলি চালানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুরনো বিবাদের কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মাছ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মনোজ। মাছ নিয়েই কিছু লোকজনের সঙ্গে বিবাদ চলছিল, যা বুধবার রাতে চরমে পৌঁছয় বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তবে আসল কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।
এলাকার বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মনোজ আসলে বিজেপিই করতেন। ভয় দেখিয়ে পরিবারকে তৃণমূল করার কথা বলানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাহাঙ্গীর আলমের অভিযোগ, বুধবার রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অতর্কিতে হামলা চালায় তৃণমূল কর্মী মনোজের বাড়িতে।