মুর্শিদাবাদ: একদিনেরও বেশি সময় ধরে খোঁজ ছিল না ছেলের। লাগাতার ফোন করে গেলেও ধরেনি কেউ। চিন্তা বাড়তে থাকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। কলেজে ফোন করলেও কাটেনি উদ্বেগ। শেষে রাতে কলেজ যেতেই ছেলের নিথর দেহ দেখতে পান বাবা। জানতে পারেন, হস্টেলের একটি অব্যবহৃত ঘর থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে তৌহিদ করিম নামে ওই ছাত্রের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনা রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত মিয়াপুর কালী মন্দির সংলগ্ন জাকির হোসেন মেডিকেল কলেজ এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। তবে এই কলেজ এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের কলেজ বলেই পরিচিত। সেখানেই এ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
তৌহিদ কলেজের কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিল বলে জানা যাচ্ছে। পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার রাতে শেষবার মায়ের সঙ্গে কথা হয় তৌহিদের। মঙ্গলবার সকাল থেকে আর তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার যোগাযোগা করা হলেও কেউ ফোন তোলেনি। তাতেই উদ্বেগ বাড়তে থাকে পরিবারে। কলেজের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে কলেজে এসে হাজির হন বাবা। জানতে পারেন, মঙ্গলবার সকাল ৮টার পর আর তাঁকে কেউ দেখেনি। সন্ধ্যার পর খোঁজ শুরু হতেই একটি বন্ধ ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এদিকে সেই ঘরটি আবার ভিতর থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা যাচ্ছে। দরজা ভাঙতেই তৌহিদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়।
কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ খোঁজ না মিললেও কেন তৌহিদকে খোঁজা হল না, কর্তৃপক্ষের কেন বিষয়টা নজরে এল না, কীভাবে সে ওই অব্যবহৃত ঘরে গেল, দরজা ভিতর থেকে লক হল কী করে, এই সব প্রশ্নেই বাড়ছে জট। বাড়ছে ধোঁয়াশা। এটা খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তৌহিদের বাড়ি মালদহ থানার যদুপুর এলাকায় বলে জানা যাচ্ছে। শোকের ছায়া এলাকাতেও। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও দাবি উঠেছে। রঘুনাথগঞ্জ থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।