Murshidabad: হাজারদুয়ারির মাঠে প্রবেশ করতে কাটতে হবে টিকিট! নয়া নিয়মে শোরগোল মুর্শিদাবাদে

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 09, 2022 | 10:41 PM

Murshidabad: মাঠের মধ্যে রয়েছে একটি ইমামবাড়া। মুসলিম সম্প্রদায়ের একাধিক অনুষ্ঠানে সেখানে ভিড় জমতো স্থানীয়দের। এখন স্থানীয়দের প্রশ্ন, তবে কী ইমামবাড়াতে ঢুকতেও এখন থেকে কাটতে হবে টিকিট? এ নিয়েও চাপানউতর তৈরি হয়েছে এলাকায়।

Murshidabad: হাজারদুয়ারির মাঠে প্রবেশ করতে কাটতে হবে টিকিট! নয়া নিয়মে শোরগোল মুর্শিদাবাদে

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: হাজারদুয়ারির (Hazarduari) মাঠে প্রবেশ করতে দিতে হবে টাকা। কাটতে হবে টিকিট। এইরকমই নোটিস দেওয়া হয়েছে হাজারদুয়ারিতে প্রবেশের বিভিন্ন গেটে। সূত্রের খবর, পর্যটন কেন্দ্র হাজারদুয়ারিতে এর আগে শুধুমাত্র মিউজিয়াম দেখার জন্য দিতে হতো টাকা। কিন্তু, মাঠে প্রবেশের জন্য লাগতো না কোনও প্রবেশ মূল্য। বর্তমানে মাঠে ঢুকতে গেলেও কাটতে হচ্ছে টিকিট। এ খবর প্রকাশ্যে আসেতই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এদিকে শুক্রবার বাদে সপ্তাহের যে কোনওদিনই প্রবেশ করা যেত হাজারদুয়ারিতে। তবে মিউজিয়াম দেখতে গেলে অনলাইনে টিকিট মূল্য দিতে হত ২০ টাকা। অফলাইনে টিকিট মূল্য দিতে ২৫ টাকা। 

সূত্রের খবর, বর্তমানে টিকিট মূল্য়ের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু, মাঠে ঢুকতে গেলেও কাটতে হবে একইমূল্যের টিকিট। জানানো হয়েছে এমনটাই। তবে এই টিকিটেই হাজারদুয়ারির অভ্যন্তরে সমস্ত জায়গায় যাওয়া যাবে। নয়া এই নিয়ম করেছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রায়গঞ্জ শাখার সুপারিনটেনডেন্ট হরি ওম সরণ। প্রসঙ্গত, মাঠের মধ্যে রয়েছে একটি ইমামবড়া।  একাধিক অনুষ্ঠানে সেখানে ভিড় জমতো স্থানীয়দের। এখন স্থানীয়দের প্রশ্ন, তবে কী ইমামবড়াতে ঢুকতেও এখন থেকে কাটতে হবে টিকিট? এ নিয়েও চাপানউতর তৈরি হয়েছে এলাকায়। ক্ষোভের বাতাবরণও তৈরি হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মুর্শিদাবাদ নগরোন্নন কমিটির সদস্য রফিক হোসেন বলেন, “এটা চরম অন্যায়। হাজারদুয়ারির ভিতরে ঢুকতে টিকিট ছিল। কিন্তু, মাঠে ঢুকতে টিকিট ছিল না। নতুন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মাঠের মধ্যে ইমামবড়া রয়েছে। সেখানে উপাসনা হয়। সেখানে যেতেও যদি টিকিট দিতে তবে তাহলে তা ঠিক নয়। এখানে যাঁরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রয়েছেন। তাঁদেরও তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে শুনেছি। এটা ঠিক নয়। এখানে এই পর্যটন শিল্পের উপর বহু মানুষের রুটি রোজগার দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মানা যায় না।”

Next Article