বহরমপুর: ‘আমি চিৎকার করতে বারণ করেছি…হাত তুলতে বলেছি’ আঙুল তুলে রীতিমত দলের কর্মীদের এইভাবেই ধমক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন কর্মীদের। কিন্তু হঠাৎ কেন রেগে গেলেন অভিষেক? রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’-তে ব্যালটে ভোট দেওয়া ঘিরে তুমুল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শুধু কী তাই! নেতার সামনেই অভিযোগ ওঠে হাতাহাতিরও। পছন্দের প্রার্থীর নাম না থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয় বেলডাঙা, রামপাড়া, দাদপুর সহ একাধিক জায়গায়।
সম্প্রতি কোচবিহারের দিনহাটায় একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় কর্মীদের আগেই সতর্ক করেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। কিন্তু কে শোনে কার কথা! গত ফের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে উঠল বিশৃঙ্খলার অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট দিতে গিয়ে গতকাল বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতির প্রকাশ্যে এল কোন্দল। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। শেষমেশ উত্তেজনা সামলাতে আসরে নামতে হয় খোদ অভিষেককে।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন , “আপনারা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান? পঞ্চায়েত সমিতিতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান? এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে জেলা নেতৃত্ব বা ব্লক নেতৃত্ব আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছিল?” তখনই এখদল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী চিৎকার করতে শুরু করেন। অভিষেক তাঁদের ধমকে বলেন, “আমি চিৎকার করতে বারণ করেছি, আপনাদের আমি চিৎকার করতে বারণ করেছি। শুধু হাত তুলতে বলেছি। তোমাদের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলেনি বলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তোমাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে বলেই ডাকা হয়েছে। তোমরা তো ভোট দিয়েছ!” এরপর কয়েকজন বলেন, “ভোট দিতে পারিনি” তখনই অভিষেকের প্রশ্ন করেন “কেন ভোট দাওনি? যাঁরা ভোট দিতে পারনি একটা খামে লিখে আমায় দিয়ে দাও।”
এ দিন, জঙ্গীপুরেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে তিনি বাকবিতণ্ডাও এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন। বস্তুত, লাগাতার গোষ্ঠী দন্দ্বের জেরে জেরবার তৃণমূল। ভোটে ফলাফলে এর প্রভাব কোনও রকমভাবেই না পড়ে তার জন্য সতর্ক উচ্চ-নেতৃত্ব। খোদ সুপ্রিমো ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তাই নেতা-কর্মীদের মন বুঝতে নেমে পড়েছেন ময়দানে।
বহরমপুর: ‘আমি চিৎকার করতে বারণ করেছি…হাত তুলতে বলেছি’ আঙুল তুলে রীতিমত দলের কর্মীদের এইভাবেই ধমক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন কর্মীদের। কিন্তু হঠাৎ কেন রেগে গেলেন অভিষেক? রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে ‘নবজোয়ার কর্মসূচি’-তে ব্যালটে ভোট দেওয়া ঘিরে তুমুল বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শুধু কী তাই! নেতার সামনেই অভিযোগ ওঠে হাতাহাতিরও। পছন্দের প্রার্থীর নাম না থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয় বেলডাঙা, রামপাড়া, দাদপুর সহ একাধিক জায়গায়।
সম্প্রতি কোচবিহারের দিনহাটায় একই ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় কর্মীদের আগেই সতর্ক করেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। কিন্তু কে শোনে কার কথা! গত ফের মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে উঠল বিশৃঙ্খলার অভিযোগ। সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট দিতে গিয়ে গতকাল বিধায়ক গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্লক সভাপতির প্রকাশ্যে এল কোন্দল। বিশৃঙ্খলা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। শেষমেশ উত্তেজনা সামলাতে আসরে নামতে হয় খোদ অভিষেককে।
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন , “আপনারা প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান? পঞ্চায়েত সমিতিতে কাকে প্রার্থী দেখতে চান? এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে জেলা নেতৃত্ব বা ব্লক নেতৃত্ব আপনাদের সঙ্গে কথা বলেছিল?” তখনই এখদল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী চিৎকার করতে শুরু করেন। অভিষেক তাঁদের ধমকে বলেন, “আমি চিৎকার করতে বারণ করেছি, আপনাদের আমি চিৎকার করতে বারণ করেছি। শুধু হাত তুলতে বলেছি। তোমাদের সঙ্গে কোনও রকম কথা বলেনি বলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তোমাদের দাবিকে মান্যতা দেওয়া হচ্ছে বলেই ডাকা হয়েছে। তোমরা তো ভোট দিয়েছ!” এরপর কয়েকজন বলেন, “ভোট দিতে পারিনি” তখনই অভিষেকের প্রশ্ন করেন “কেন ভোট দাওনি? যাঁরা ভোট দিতে পারনি একটা খামে লিখে আমায় দিয়ে দাও।”
এ দিন, জঙ্গীপুরেও তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সেখানে তিনি বাকবিতণ্ডাও এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেন। বস্তুত, লাগাতার গোষ্ঠী দন্দ্বের জেরে জেরবার তৃণমূল। ভোটে ফলাফলে এর প্রভাব কোনও রকমভাবেই না পড়ে তার জন্য সতর্ক উচ্চ-নেতৃত্ব। খোদ সুপ্রিমো ও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড তাই নেতা-কর্মীদের মন বুঝতে নেমে পড়েছেন ময়দানে।